1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জিরো থেকে শুরু, বছরে আয় ১০ লাখ টাকা;এ যেন এক চোঁখ ধাঁধানো ঝলক। পাহাড় ধস রোধে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি আলিমের ছাঁয়ায় সন্ত্রাসীরা বীরগঞ্জে শ্যামলী কোচের ধাক্কায় অটো চালক মোস্তফা নিহত, আহত-১ গৌরনদীতে বিএনপি’র গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পরিষদের এক সভা ঢাকাস্থ তিতাস উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের নির্বাহী কমিটি পরিচিতি সভা ও ফুলেল সংবর্ধনা। রিট খারিজ, ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই ইয়াবা দিয়ে স্কুল শিক্ষককে ফাঁসানোর অভিযোগ- মুক্তি চায় এলাকাবাসী ভারতীয় প্রেসকিপশনে লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুরে জনমিতি পরিবর্তন করছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ

থেমে গেল প্রতিবাদের কণ্ঠ

ইসমাঈল হোসাইন শামীম
  • আপডেট : শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১
  • ৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

সেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরের নাম ফকির আলমগীর। দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এবং জনপ্রিয় গণসংগীতশিল্পী তিনি। গণসংগীত করে তার মতো বিস্তৃত পরিসরে খুব কম শিল্পীই পৌঁছতে পেরেছেন। তার গান গ্রাম-বাংলার প্রতিটি প্রান্তরে, প্রতিটি মানুষের কানে বেজেছে।

বিপ্লবী সেই কণ্ঠ থেমে গেল আজ। মহামারি করোনার থাবায় উড়ে গেল তার প্রাণপাখি। আট দিন এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন ফকির আলমগীর। তার মৃত্যু দেশের সংগীতের জন্য বড় ক্ষতি।

গত ১৪ জুলাই ফকির আলমগীরের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৫ জুলাই সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর হাসপাতালের আইসিইউ এবং শেষ পর্যন্ত লাইফ সাপোর্টে পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না কিছুতেই।

জানা গেছে, ফকির আলমগীরের ফুসফুসের সিংহভাগে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। এছাড়া তার ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল।

ফকির আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে। কালামৃধা হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। জগন্নাথ কলেজ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন গুণী এই ব্যক্তি।

১৯৬৬ সালে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন ফকির আলমগীর। সেই সূত্রেই গণসংগীতে আসা। ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে তিনি ষাটের দশক থেকেই সরব হয়ে ওঠেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আগে যেসব বড় আন্দোলন হয়েছিল, সেগুলোতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন ফকির। তার কণ্ঠ বজ্র হয়ে বেজেছিল আন্দোলনের মিছিলে।

এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধে ফকির আলমগীর যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। কণ্ঠসৈনিক হিসেবে তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের মনে ছড়িয়ে দেন বিজয়ের স্পৃহা, সাহসের আলো।

দেশ স্বাধীনের পর পূর্ণাঙ্গভাবে সংগীতে মননিবেশ করেন ফকির আলমগীর। নিজেই গড়ে তোলেন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী। কেবল গণসংগীত নয়, ফকির আলমগীর স্বাধীন দেশে পপ গানের সঙ্গে লোকজ সুরের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে নিয়মিত গান করতে থাকেন। তার গাওয়া বিখ্যাত গান ‘ও সখিনা গেছস কিনা ভুইল্যা আমারে’ বাংলার প্রতিটি মানুষের কানে বেজেছে। এছাড়া ‘নাম ছিল তার জন হেনরি’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘নেলসন ম্যান্ডেলা’র মতো গানগুলো উপহার দিয়েছেন।

বার্ধক্যে এসেও ফুরিয়ে যাননি ফকির আলমগীর। নিয়মিতই গান করে গেছেন। বছর খানেক আগেই তিনি গান করেছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিহত হওয়া জর্জ ফ্লয়েডকে নিয়ে। যা তার সংগীত ভাবনার বিস্তৃতিকে আরও একবার প্রমাণ করেছিল।

দেশীয় সংগীতে ফকির আলমগীরের অবদান কতখানি, তা পরিমাপ করা অসম্ভব। তবে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছিল সরকার। ১৯৯৯ সালেই তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল সম্মানজনক একুশে পদক।

অবশ্য পুরস্কারের চেয়েও ফকির আলমগীরের বড় প্রাপ্তি ছিল গণমানুষের ভালোবাসা। সংগীতের মাধ্যমে তিনি মানুষকে যতটা আনন্দ দিয়ে গেছেন, যতটা সাহস আর প্রতিবাদ শিখিয়ে গেছেন, তা টিকে থাকবে যুগের পর যুগ। আর গণসংগীতের নায়ক হয়ে ফকির আলমগীর থেকে যাবেন দেশের ইতিহাসের স্বর্ণালী পাতায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com