1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ছে ‘বিশ্ব গণমানুষ সেবা ফাউন্ডেশন’ ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ারদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে সরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল: আমিনুল হক আমরা পুরান রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু “খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীক”— আবেগঘন স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর দাউদকান্দিতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে তারেক রহমান—নেতাকর্মীদের দৃঢ় প্রত্যাশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের নাম চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন ✦ এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা রহমান ✦ জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

৫৪ বছর ধরে একই আঙিনায় চলছে নামাজ ও পূজা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৫৩ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : টাঙ্গাইলের নাগরপুরের চৌধুরী বাড়ির আঙিনায় মসজিদ-ঈদগাহ মাঠ ও মন্দির। দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে বাগবিতণ্ডা ছাড়াই চলছে নামাজ ও পূজা। ধর্মীয় সম্প্রীতির নিদর্শন স্থাপন করেছেন স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চৌধুরী বাড়িতে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজান শুরুর আগেই থেমে যায় ঢাক-ঢোল-কাঁসরের আওয়াজ। নামাজ শেষে পুনরায় শুরু হয় পূজার আচার-অনুষ্ঠান। দুই ধর্মের লোকজনরাই নিজ-নিজ ধর্মীয় আচার ও নিয়ম পালন করছে দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে। কারও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

জানা গেছে, ৯২ বছর আগে ১৩৩৯ বঙ্গাব্দে ওঝা ঠাকুর ও হরনাথ স্মৃতি কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন শ্রী পরেশ চন্দ্র ও শৈলেশ চন্দ্র দাসয়ো। এরপর থেকে প্রতিবছর ধুমধাম করে দুর্গাপূজা উদযাপন করে এলাকার সনাতনধর্মের লোকজন। মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪০ বছর পর একই বাড়ির আঙিনার অপরপাশে (পশ্চিমাংশে) নির্মাণ করা হয় নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। একই মাঠের পশ্চিমাংশে মসজিদ আর পূর্বাংশে মন্দির নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে কখনও ধর্মীয় কোনো দ্বন্দ্ব বা সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়নি। একই সঙ্গে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমরা যার যার ধর্ম পালন করছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মন্দিরে পূজা-অর্চনা চলছে, উলুধ্বনি ও ঢাকের বাজনাও আছে। পূজারি ও দর্শনার্থীরা প্রতিমা দেখতে এবং পূজায় অংশ নিতে ভিড় করছেন। নির্ধারিত সময়ে আজান শুরু হতেই থেমে যাচ্ছে, ঢাক-ঢোল-কাঁসর, মাইক ও উচ্চ-শব্দের বক্সের বাজনা। আজানের পর মুসল্লিরা মসজিদে এসে নামাজ আদায় করছেন। নামাজ শেষ হওয়ার বেশ কিছু সময় পর আবার বেজে ওঠে মন্দিরের ঢাক-ঢোল-কাঁসর আর উচ্চ-শব্দের বাজনা।

বয়োবৃদ্ধ লিপি চক্রবর্তী জানান, তারা দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে এখানে পূজা করছেন। পাশে মসজিদ ও মন্দির থাকলেও তাদের সমস্যা হয় না। ইসলাম ধর্মের মানুষ তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে। তারাও নামাজ ও আজানের সময় পূজা বন্ধ রাখেন। এটা কাউকে বলে দিতে হয় না। নামাজের আজানের সময় হলে আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যায় পূজার কর্ম। যুগ যুগ এই সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। সারা বছর এলাকার হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই হিসেবে মিলেমিশে বসবাস করেন। ৫৪ বছরের মধ্যে কোনো দিন দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা তিনি দেখেননি।

চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান সোহেল জানান, তিনি জন্মের পর থেকে একই বাড়ির আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির দেখছেন। পূর্বাংশের মন্দিরে সনাতন ধর্মের লোকজন পূজা-অর্চনা করেন। এখানে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করেন। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় তারা সব সময় এ বিষয়টা লক্ষ্য রাখেন।

ওঝা ঠাকুর ও হরনাথ স্মৃতি কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি লিটন কুমার সাহা পোদ্দার জানান, এই মন্দিরটা বহু বছরের পুরনো। একটি বাড়ির মাঠের (উঠানের) পশ্চিমাংশে মসজিদ ও পূর্বাংশে মন্দির। এ এলাকার হিন্দু-মুসলমানরা যার যার ধর্মীয় আচার পালন করে থাকেন। এ পর্যন্ত এখানে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি আশা করেন-কখনও ঘটবেও না।

চৌধুরী বাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, মসজিদ প্রতিষ্ঠার প্রায় আড়াই বছর পর থেকে দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে তিনি এই মসজিদের ইমামতি করছেন। এ পর্যন্ত এখানে হিন্দু বা মুসলমানদের সঙ্গে কোনো ঝগড়াঝাঁটি হতে তিনি দেখেন নাই। আজান-নামাজের সময়সূচি তাদের (হিন্দুদের) কাছে দেওয়া আছে। নামাজ ও আজানের সময় তারা বাদ্য-বাজনা বন্ধ রাখেন। নামাজে যাতে মুসলিমদের কোন অসুবিধা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখে। নামাজ শেষে তারা আবার তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করেন।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) দীপ ভৌমিক জানান, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এর একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নাগরপুরের চৌধুরী বাড়ি। একই বাড়ির উঠানের একাংশে মসজিদ ও অপরাংশে মন্দির। মুসল্লিরা নামাজের সময় নামাজ আদায় করছে আবার হিন্দু ধর্মের লোকজন পূজার সময় পূজা উদযাপন করছে। বিগত বছরের মতো এ বছরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন, নাগরপুরে দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে মসজিদ ও মন্দিরে প্রত্যেক ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম সম্প্রীতি বজায় রেখে পালন করে আসছে। এই এলাকার মানুষের মধ্যে সামাজিক যে বন্ধন সেটি বিদ্যমান আছে। নাগরপুরের এই দৃষ্টান্ত প্রমাণ করে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com