বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর রাজারবাগস্থ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত নির্বাচনি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাহারুল আলম বিপিএম এর সভাপতিত্বে অনু্ষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা চালানোরও নির্দেশনা দিয়েছেন ।
উপদেষ্টা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নানা দিক-নির্দেশনা দিতে গিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। ধৈর্যের সঙ্গে মাথা ঠাণ্ডা রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে। ‘আমরা কাজ-কর্মে যত স্বচ্ছ থাকবো, সাধারণ জনগণের কাছে তত আস্থা অর্জন করতে পারবো’।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন যে, আসন্ন নির্বাচন শান্তি ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। অতীতের বাজে নির্বাচন ভুলে গিয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনের ওপর জোর দেন তিনি। একইসঙ্গে সমাজ থেকে দুর্নীতি ও মাদক কমানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অপারেশন ডেভিল হান্ট প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট না থাকলেও এর কর্মতৎপরতা বন্ধ হয় নি। প্রত্যেক থানায় ফ্যাসিস্টদের তালিকা রয়েছে এবং তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। জামিনে ছাড়া পাওয়া অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি। থানা থেকে লুট হওয়া/হারানো/অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করার জন্যও উপদেষ্টা নির্দেশ দেন।
উপদেষ্টা বলেন, মাদক, জুয়া ও মেলার অনুমতি বন্ধ থাকবে। সড়ক ও পরিবহনে, বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করতে হবে। সামনের দুর্গাপূজায় যাতে নির্বঘ্নে হয়। গত বছরের ন্যায় এ বছরও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্টের পর যে নতুনভাবে পুলিশ গড়ে তোলা হয়েছে, তার চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে জাতীয় নির্বাচন।
পরে উপদেষ্টা নির্বাচন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১,৫০,০০০ জন পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।