1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
“সামাজিক সাংগঠনিক কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য দেশ “সেরা শ্রেষ্ঠ সংগঠক” হিসেবে সম্মাননা এওয়ার্ড পেলেন! ১২ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে আটক বোট ওয়ার্কশপের উদ্বোধন কোস্টগার্ডের আধুনিকায়নে সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন- স্বরাষ্ট উপদেষ্টা সাহিত্য হোক সার্বজনীন” সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় Al Arafa TV UK, বিশিষ্ট স্পিকার কবি আলিফ উদ্দিন সাহেবের ইন্তেকাল নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের র‌্যালি, জামালপুরে নেতৃত্বে ঐক্যের বার্তা সাজেকে স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম শুরু বাগমারায় ৫ প্রতারক গ্রেপ্তার টাঙ্গাইলে আইবিডাব্লিউএফ এর দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত যুগ যুগ ধরে বাঁশের নানান ধরনের ব্যবহার হচ্ছে

লকডাউনেও কঠোর হচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১
  • ২১২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ৮ দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। ছুটি শেষে শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ছয়টা থেকে ফের শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ।

বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। তবে বিধিনিষেধের প্রথম তিন-চারদিন বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে তল্লাশি ও জিঙ্গাসাবাদের কারণ জানতে চাইলেও বর্তমানে চেকপোস্টে তল্লাশি কার্যক্রমে শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে।

অধিকাংশ চেকপোস্টই ফাঁকা দেখা গেছে। পাশাপশি সেনাবাহিনী এমনকি বিজিবির টহলও দেখা যায়নি আগের দিনগুলোর মতো। বিধিনিষেধের ৭ম দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও অনেকটাই নমনীয় দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রোধে চলমান বিধিনিষেধের ৭ম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানবাহন চলাচল বিশেষ করে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে প্রাইভেটকার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা চলাচল বেড়েছে। অন্যদিনের চেয়ে মানুষের চলাচলও বেড়েছে দ্বিগুন।

সরেজমিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, জিগাতলা, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়, গণভবন চেকপোস্ট, গাবতলী এলাকা, মাতুয়াইল, শনির আখড়া ঘুরে দেখা যায়, গত ৬ দিনের তুলনায় আজ অধিক সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে, বিধি নিষেধ ছিল অনেকটাই উপেক্ষিত।

এমনকি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও সেটাও ছিলো ধীরগতিতে। কিছু কিছু চেকপোস্টে লকডাউনে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়ার চেয়ে ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মামলা দিতে দেখা গেছে। কোথাও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও কেবল সেখানেই যানবাহন ও জনচলাচলে কঠোরতা লক্ষ্য করা গেছে।

মিরপুর এলাকার বিভিন্ন অলিগলির পাশাপাশি প্রধান সড়কেও মানুষের জটলা বাড়তে দেখা গেছে। রূপনগর, পল্লবী এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপণ্যের দোকান ও হোটেল রেস্তোরাঁ ছাড়া অন্যান্য দোকানে শাটারের এক অংশ খোলা রেখে বেচা-কেনা চলছে। তবে যারা বের হচ্ছে তারা জরুরি প্রয়োজনেই বের হচ্ছেন বলে জানান।

জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, বিধিনিষেধ আমরা কঠোর ভাবেই পালন করছি। এরপরও জরুরী প্রয়োজনে কেউ কেউ বের হয়ে যাচ্ছেন। যারা জরুরী প্রয়োজনে বের হচ্ছে আমরা তাদের কেই জিঙ্গাসাবাদ করছি।

তিনি আরো বলেন, সরকার কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে, কারফিও তো দেয়নি। তাই যাদের প্রয়োজন আছে তারা বের হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কঠোর বিধিনিষেধ আগের মতোই পালন করা হচ্ছে।

প্রতিদিন জরিমানা বাড়লেও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বলছেন, হাসপাতালে রোগী দেখতে যাবে, কেউ বা আবার বলছে খাবার দিতে যাবে।

এদিকে সরকারের দেয়া বিধি-নিষেধে সড়কে ব্যক্তিগত যান ও মোটরসাইকেলের চলাচল বেশি দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট দেখে লুকোচুরি করে রাজধানীতে বেশকিছু অটোরিকশা চলাচল করতেও দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও চলাচল করছে রিকশা ও অটোরিকশা।

দুপুরে ধানমণ্ডি মিরপুর প্রধান সড়কে হাটছিলেন সালাম মিয়া নামে একজন। জিজ্ঞেস করতে বললেন, সকালে ১ দিকে একবার পুলিশ টহল দিয়ে গেছে। এরপর আইনশৃংখলা বাহিনীর আর কাউকে দেখা যায়নি।

কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর,তেজগাঁও ও মহাখালী এলাকায়ও রাস্তায় গাড়ির চলাচল অন্য দিনের চেয়ে বেশি দেখা গেছে। অনেককে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হচ্ছে।

জানতে চাইলে দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে প্রতিদিন বাইরে বের হচ্ছে মানুষ। সড়কেও বারছে গাড়ির চাপ। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ আরো বেশি। অফিস বন্ধ ছাড়াও অনেক জরুরি প্রয়োজনেই বের হচ্ছে।

এ বষিয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, কঠোর বিধিনিষেধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে কিনা, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ রাস্তায় চলাচল করছেন কিনা, সেগুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বের হলেই তাকে আটকে দেয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com