1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
বিকেলে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন দিলেন রিজভী সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমানের বন্ধু মামুন দাউদকান্দিতে সন্ত্রাস মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ : ৪ কি. মি. যানজট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর আন্তর্জাতিক ভলান্টিয়ার ডে উদযাপন শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ব্যবসায়ী নিহত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কোনো ধরনের হুমকির মধ্যে নেই- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রম কল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ রেখেই সরকারী বেতন ভাতা হরিলুট বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বলছেন ফেরত যাওয়া ভারতীয় ট্রাকচালকরা

করোনা টিকার মিশ্র ডোজে বেশি সুরক্ষা: অক্সফোর্ডের গবেষণা

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১
  • ৬৮৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : কভিডের সুরক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকা নিলে সেটা এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় বেশি কাজ করে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে। কম-কোভ ট্রায়াল নামের এই গবেষণায় দেখা গেছে, ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি করে ডোজে কভিড-১৯ সুরক্ষায় বেশি কাজ করছে নাকি আলাদা ধরনের দুই টিকার সংমিশ্রণে বেশি উপকার পাওয়া যাচ্ছে? সেই গবেষণায় দেখা গেছে, দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকার সংমিশ্রণে মানুষের শরীরে কভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তথ্যের ফলে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার আরো সহজ হবে। এই গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ পেয়েছেন, তারা যদি বুস্টার ডোজ হিসাবে তৃতীয় আরেকটি প্রতিষ্ঠানের টিকা নেন, তাহলে সেটি তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী করে তুলতে পারে।

যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম বলেছেন, এখন যুক্তরাজ্যে যেভাবে একই প্রতিষ্ঠানের পরপর দুই ডোজ টিকা সফলভাবে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে পরিবর্তন আনার কোন দরকার নেই, যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণে টিকার সরবরাহ রয়েছে এবং মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে হয়তো নতুন এই গবেষণার ফলাফলের দিকে সবাইকে তাকাতে হবে। ”টিকার সংমিশ্রণ হয়তো আমাদের বুস্টার কর্মসূচীকে আরো সহজ করবে। বিশেষ করে যেসব দেশে টিকার সংকট রয়েছে অথবা তাদের টিকাদান কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে চান, তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে।” তিনি বলেন।

ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ টিকার মিশ্র ব্যবহার শুরু করেছে। স্পেন আর জার্মানিতে যারা প্রথম ডোজ হিসাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন, তাদেরকে (বিশেষ করে তরুণদের) দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে ফাইজার বা মর্ডানার টিকা গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও এজন্য তারা টিকার কার্যকারিতার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিরল রক্ত জমাট বাধার মতো সমস্যা এড়ানোর জন্য।

কভিড-১৯ থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা পেতে এবং শরীরের ভেতর এই ভাইরাস প্রতিরোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি, সেটিকে আটকে দেওয়া ও ধ্বংস করার মতো টি সেল তৈরির করার জন্য টিকার দুইটি ডোজ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই কম-কোভ পরীক্ষায় ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৮৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর গবেষণা চালানো হয়।

সেখানে দেখা গেছে:

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পর যদি দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়, তাহলে অ্যান্টিবডি ও টি সেল তৈরিতে বেশি কাজ করে। কিন্তু ফাইজারের টিকার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হলে ততটা উপকার পাওয়া যায় না।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি ডোজের তুলনায় এই দুই ধরনের টিকায় শরীরের বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ফাইজারের দুইটি ডোজের পর শরীরে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হতে দেখা গেছে। তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পর ফাইজারের টিকা নেওয়া হলে শরীরে সবচেয়ে বেশি টি সেলের তৈরি হয়েছে।

প্রধান গবেষক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ স্ন্যাপ বলেছেন, যুক্তরাজ্যে এখন যেভাবে মানুষজনকে একই ধরনের টিকার পরপর দুই ডোজ দেওয়া হচ্ছে, এই গবেষণায় সেটাকে খাটো করে দেখানো হচ্ছে না। ”আমরা এতদিনে জেনে গেছি যে, এই মানের দুইটি টিকা মানুষকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বা হাসপাতালে যাওয়া থেকে ঠেকাতে পারে। বিশেষ করে আট থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হলে সেটা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতেও কার্যকর।”

তিনি বলেছেন, নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে, টিকার মিশ্রণও সেই সঙ্গে সমান কার্যকরী, যদিও এক মাসের ব্যবধানে দুই ধরনের টিকা দেওয়ার ফলে সময় কম নেওয়া হয়েছে, যেখানে যুক্তরাজ্যে এখন তিনমাসের ব্যবধানে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ”দুই টিকার মাঝে লম্বা সময় নেওয়া হলে সেটা শরীরের বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে,” তিনি বলছেন। তিন মাসের ব্যবধানে দুই ধরনের টিকা প্রয়োগ করে একটি গবেষণার ফলাফল সামনের মাসে জানা যাবে।

পাশাপাশি অপ্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় জানা যাচ্ছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরবর্তী ছয় মাস পরে আরেকটি ডোজ নেওয়া হলে সেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের এই শীতের আগে তৃতীয় বুস্টার ডোজ লাগবে কিনা, সেটা বলার জন্য এখনো সময় আসেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতটা হ্রাস পায়, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com