বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিবেদক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
সতেরো বছরের বেশি সময় পর দেশে ফেরেন তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তার আগমনে তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এর আগে সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় এক ঘণ্টা গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড শেষে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে তারেক রহমানের স্ত্রী ও কন্যা গুলশানের বাসভবনে যান। পরে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে জুতা খুলে শিশির ভেজা ঘাস ও মাটিতে পা রাখেন তারেক রহমান। এ সময় তিনি একমুঠো মাটি হাতে তুলে নেন। এরপর বাসে করে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
তারেক রহমানকে একনজর দেখতে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক। পথে পথে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দিতে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। ফলে অল্প দূরত্বের পথ অতিক্রম করতেই সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
বিকেল ৪টার দিকে বাস থেকে নেমে মঞ্চে ওঠেন তারেক রহমান। তার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো সংবর্ধনাস্থল। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বক্তব্য শেষ করে তিনি গাড়িতে উঠে চিকিৎসাধীন মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে যাওয়ার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন।
তারেক রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই সংবর্ধনাস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। গণসংবর্ধনা শেষে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গন্তব্যমুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বাড্ডা লিংক রোড ও গুলশান এলাকায় বাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান ও খোলা ট্রাকে করে দলবেঁধে নেতাকর্মীদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে দেখা গেছে।
ফেরার পথে অনেকেই ক্লান্ত থাকলেও তাদের মুখে সন্তুষ্টির ছাপ স্পষ্ট ছিল। এদিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।