বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিএনপি এই প্রত্যাবর্তনকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নেমেছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের দেশে ফেরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনা অতীতের যেকোনো রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তারেক রহমান। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করেন। এ সময় তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেননি। অবশেষে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।
তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন তার সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমান। তারা আজ বেলা ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া তার সঙ্গে রয়েছেন মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, পারসনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহমান সানি এবং তাবাসসুম ফারহানা।
এদিকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানীর কুড়িল ৩০০ ফুট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনার স্থান ইতোমধ্যেই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। সর্বোচ্চ জনসমাগমের পাশাপাশি পুরো আয়োজন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
দলের শীর্ষ নেতারা বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। পাশাপাশি ঘোষিত সম্ভাব্য সংসদ প্রার্থী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন।
সারাদেশের ১০টি রুটে স্পেশাল ট্রেনে করে নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসছেন। কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়, খুলনা থেকে রাজশাহী—দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্ত থেকেই ঢাকামুখী বিএনপির নেতাকর্মীদের স্রোত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।