বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইএসটি)-এর উদ্যোগে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠান–২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ধানমন্ডিস্থ আইএসটি অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইএসটির পরিচালক (প্রশাসন) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ রফিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. এ. মজিদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং আইএসটির পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত বিদ্যোৎসাহী সদস্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা আল মামুন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফদা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব ডিন অধ্যাপক ড. আশেক কবির চৌধুরী, সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী, ক্রাউন ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশিদ, আইএসটির ছাত্র উপদেষ্টা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জাকির হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আইএসটির অধ্যাপক রুবিনা রোকসানা খান, অধ্যাপক জিয়াউল হাসান, অধ্যাপক আশফাকুর রহমান, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক লুৎফি হাবীবা, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, ইসিই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাহফুজা ফেরদৌসী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ বলেন, তিনি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আইএসটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সাবেক ডিন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. শহীদা রফিককে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আব্দুস সালামের উদ্যোগে এ প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়।
তিনি আইএসটির আধুনিক যুগোপযোগী সিলেবাস, পাঠদানের মান এবং সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলেও আইএসটির মতো সুশৃঙ্খল শিক্ষা পরিবেশ এবং আধুনিক কম্পিউটার ও ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব খুব কমই দেখা যায়। এ জন্য তিনি আইএসটির গভর্নিং বডি, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে আইএসটির অংশগ্রহণে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় আইএসটির শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আহত ও গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন।
অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সভাপতি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রজেক্ট এক্সিবিশন এবং পোস্টার প্রেজেন্টেশনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. উজ্জ্বল হোসেন এবং সিএসই বিভাগের প্রভাষক তাসমিয়া সুলতানা তমা।