সংবাদ প্রতিবেদক: কাজল : গৃহবধূ মোছাঃ শিল্পী আক্তার (শিউলি), পিতা—শরীফ শেখ, গ্রাম: চর বয়ড়া, পোস্ট: রায়ের ছড়া, দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, স্বামী আঃ রাজ্জাক (৩৬), পিতা—মো. সামাদ মন্ডল, গ্রাম: জাঙ্গালিয়া, পোস্ট: গুনারীতলা; তার সঙ্গে শাশুড়ি আয়েশা বেগম, দেবর রাসেল, ও ভাসুর আসাদ—সম্মিলিতভাবে গর্ভবতী শিউলির ওপর ভয়াবহ শারীরিক হামলা চালায়। অতিবিদগ্ধ আঘাতে গর্ভের শিশুটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রাণ হারায়। চিকিৎসার পরও নবজাতকের দেহের অবস্থা অবনতির দিকে গেলে শেষ পর্যন্ত মৃত সন্তান প্রসব হয়—পরিবারের বর্ণনায় শিশুটির দেহ চেপ্টা ও থেঁতলে যাওয়া দেখা যায়। শিউলি জানিয়েছেন, তিনি এবং তার পরিবার এখন মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন এবং ন্যায্য বিচারই তার একমাত্র দাবি।
সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই ঘটনার অবিলম্বে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিস্তৃত তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে দায়শীলতা প্রমাণ করে দ্রুত, দৃশ্যমান ও আইনসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে। মামলার তথ্য–উপাত্ত, মেডিকেল রিপোর্ট ও ফরেনসিক পরীক্ষার সমন্বয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি আরও জোরালো হচ্ছে—যাতে দীর্ঘমেয়াদে ভুক্তভোগীর পরিবার যথাযথ বিচার ও প্রতিকার পায়।
প্রশাসনকে কার্যকর, স্বচ্ছ ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানানো হচ্ছে—শুধু গ্রেপ্তার নয়, তদন্তের প্রতিটি ধাপ এমনভাবে সম্পন্ন করতে হবে যাতে ন্যায়বিচার দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভবিষ্যতে কোনো নারীর ওপর এমন নির্মম নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। জনস্বার্থ, মানবাধিকার ও নারী নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হলো।