নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস-এর তথ্য উন্মুক্ত থাকা উচিত। তথ্য লুকোচুরি বা কারসাজির কোনো প্রশ্নই আসে না। নতুন বিধিমালায় তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিশ্ব ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বাসযোগ্য সরকারি ডাটা উৎপাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে যে পরিমাণ টাকা খরচ হবে সেটিকে অন্যতম বিনিয়োগ বলা যায়। কেননা বিবিএসের ডাটা নিছক কোনো পরিসংখ্যান নয়, এর মাধ্যমে সরকার নীতি নির্ধারণ করে, বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং গবেষকসহ সব শ্রেণীর মানুষ সঠিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কাজ করতে পারবে। এজন্য পরিসংখ্যানের স্বচ্ছতা না থাকলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সন্মেলন কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডঃ আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দায়ারেন্তি। সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিএসের মহাপরিচালক মিজানুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পরিসংখ্যান এখন সমাজের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। গত ৫০ বছরে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যার কিছুটা সংগত আর কিছুটা হয়তো সংগত নয়।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএসের পরিচালক কবির উদ্দিন আহাম্মদ। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যন ড. মো. জাফর আহমেদ খান এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতির সভাপতি ড. সৈয়দ সাহাদৎ হোসেন।