রাঙামাটি প্রতিনিধি : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “গত ১৭ বছর ধরে উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি ও প্রতারণা করে আসছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার।”
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের অসুস্থতার খবরে তিনি রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার দুর্গম মগাছড়ি গ্রামে যান। বৃষ্টি আর কাদা মাড়িয়ে পৌঁছে তিনি ঋতুপর্ণার মা ভুজোপতি চাকমার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।
ভুজোপতি চাকমা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে তিনি তিনটি কেমোথেরাপি নিয়েছেন। প্রতি ২১ দিন অন্তর চট্টগ্রামে গিয়ে তাকে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে। এসময় “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা এবং জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরও ১ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া “আমরা বিএনপি পরিবার” থেকে প্রতি মাসে কেমোথেরাপির জন্য ৩০ হাজার টাকা সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
রিজভী বলেন, “এই খবর শুনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঋতুপর্ণার মায়ের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে আজ সকালে মগাছড়ি গ্রামে তার বাড়িতে আসি। তার রোগমুক্তির প্রার্থনা করেছি এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।”
পাহাড়ি এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রমের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “একটা দুইটা পদ্মা সেতু করলেই উন্নয়ন উন্নয়ন বলা হয়। এই এলাকায় না আছে কোনো রাস্তা-ঘাট, না আছে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিগত ১৭ বছরে উন্নয়নের যে বুলি আওড়ানো হয়েছে, সেটি যে ভাঁওতাবাজি আর প্রতারণা—ঋতুপর্ণার গ্রামের বাড়িতে এসে চোখে দেখেই বোঝা যায়।”
ঋতুপর্ণা চাকমাকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শোষণ-জুলুমের মাধ্যমে দেশের প্রতিভাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা হয়েছে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণ ও প্রতিভাকে তুলে আনার কোনো উদ্যোগ এখনো আমরা দেখছি না।”
এ সময় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, “আমরা বিএনপি পরিবার”-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সভাপতি দিপেন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব মেম্বারসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।