বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ নতুন ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়, তাই আমাদের দাবি- নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে জবাবদিহিমূলক পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।’
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়া এলাকায় বিএনপির প্রয়াত সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বতর্মান সময় ১/১১ এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় চলেছে। সারা দেশে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। ৬ শতাধিক নেতাকর্মী গুম রয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, সরকার নিয়ন্ত্রণ করতেই পারে না। এটা সরকারের নিয়ন্ত্রণ করবার কোনো ক্ষমতাও নেই। কারণ সরকারই এই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে এই সরকারের মন্ত্রী, এমপি নয় দলের লোক জড়িত। এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে একটা ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এই ব্যর্থতার ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতি সর্ব মহলে ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এত বড় দুর্নীতি আমরা আগে কখনও দেখিনি। অর্থাৎ পরিকল্পিতভাবে এই সরকার এই দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। সাধারণ মানুষের কথা তারা চিন্তাও করে না।’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের বাঁধ ভেঙে গেছে, জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জনগণের সরকার করতে হলে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এটা হবে না।’
এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস.এ কবির জিন্নাহ, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. জামিলুর রশিদ খান, বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ড. খোন্দকার আকবার হোসেন বাবুল, খোন্দকার আকতার হোসেন জগলুসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।