1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তৃতীয়বারের মতো পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি সফল, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ — করা হয়েছে ছোট অস্ত্রোপচারও মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ছে ‘বিশ্ব গণমানুষ সেবা ফাউন্ডেশন’ ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ারদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে সরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল: আমিনুল হক আমরা পুরান রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু “খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীক”— আবেগঘন স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর দাউদকান্দিতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে তারেক রহমান—নেতাকর্মীদের দৃঢ় প্রত্যাশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের নাম চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন

পদ্মা-গড়াইয়ে পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১
  • ২৭০ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফারাক্কা থেকে নেনে আসা গঙ্গা-পদ্মার শাখা প্রশাখায় প্রবাহিত বানের জল উপচে প্লাবিত হচ্ছে কুষ্টিয়ার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। কুষ্টিয়ার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্ট, শিলাইদহ ও গড়াই নদীর রেলসেতু পয়েন্টে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপ স্কেলে বিপদসীমা ইতোমধ্যে ছুঁই ছুঁই করছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তারা।

রোববার সকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্তৃপক্ষ জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির এই ধারা আগামী ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পদ্মা-গড়াইয়ে পানি বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই জেলার নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকার কৃষি জমি এবং লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে নদীর পাড় ভাঙন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী কুষ্টিয়ার দপ্তরে পাঠানো সতর্কবার্তায় জেলার নদী ভাঙনপ্রবন ২৫টি স্পট শনাক্ত করে সেখানে জরুরি সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশনাসহ প্রয়োজনীয় আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিন।

প্লাবন, ভাঙন ও আক্রান্তসহ উপদ্রুত এলাকায় জরুরিভিত্তিতে আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার যথেষ্ট সক্ষমতা তাদের নেই বলেও জানান এই প্রকৌশলী।

রোববার দুপুরে জেলার ৬টি উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, সব উপজেলাতেই নিম্নাঞ্চলের কৃষিজমি ও বসতবাড়ি প্লাবিত এবং কোথাও কোথাও পাড় ভেঙে নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। সেখানে সাধ্যমতো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ইতোমধ্যে নদীর পাড় ভাঙনের মুখে জেলায় সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ জনপদের ক্ষতি হওয়া ১৪টি স্পটে জরুরি আপদকালীন পদক্ষেপ হিসেবে বালুভর্তি জিও ব্যাগে ফেনো হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এসব স্পট হলো- দৌলতপুর উপজেলার চিলমারি, ফিলিপ নগর ও মরিচা। ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ও রায়টা ঘাট। মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার শেখ রাসেল কুষ্টিয়া হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধ ও স্কুল মাদ্রাসা। কুমারখালী উপজেলার সুলতানপুর ,কোমরভোগ, শিলাইদহ, চাপড়া ও তেবাড়িয়া। খোকসা উপজেলার কালিবাড়ি ও ওসমানপুর আবাসন প্রকল্প।

এছাড়াও স্যাটেলাইট (সিজিআইএস) থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী নদী ভাঙনের অধিক ঝুকিপূর্ণ স্পট হিসেবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে চিহ্নিত হয়েছে হেলালপুর, উসমানপুর, আবেদের ঘাট, কুলদিয়া, ভুড়কা, পুরাতন কুষ্টিয়া, শিমুলিয়া, কমলকান্তি, গনেশপুর, তেবাড়িয়া, এনায়েতপুর, লালপুরসহ প্রায় ২৫টি স্পট।

গড়াই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধ ঠেকাতে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশল মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে যে পরিমান ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় ব্যাগ সরবরাহের চরম ঘাটতি রয়েছে। সে কারণে কাজের গতিও কাঙ্খিত মাত্রায় করতে পারছি না। বলতে পারেন টাকা দিয়েও চাহিদা মতো জিওব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে না।

ঠিকাদার হবিবর রহমান বলেন, আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার হওয়ায় তাৎক্ষণিক এসব জরুরি কাজের বোঝা আমাদের ঘারেই চাপানো হয়। আমরাও করি। কিন্তু সমস্যা হলো প্রতি বছরই এ ধরণের কম-বেশি জরুরি কাজ করে দেই ঠিকই, এসবের বিল পেতে আমাদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। কবে এ কাজের বিল পাবো তা বলা মুশকিল।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ বলেন, পদ্মা ও গড়াইয়ের সবকটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিশেষ নজর রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই সমস্যা সৃষ্টি হবে, গুরুত্ব বিবেচনায় সেখানেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে এ ক্ষেত্রে জরুরি কাজের পরিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা বিভিন্ন সোর্সকে কাজে লাগিয়ে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com