রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি জেলার কাউখালি উপজেলার বেতবুনিয়ায় অবস্থিত বেণুবন উত্তমানন্দ ধর্মবন বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসব। মঙ্গলবার দুপুরে বিহার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কঠিন চীবর দানোৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পশ্চিম সোনাইছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত নাইন্দাবাসা মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপপরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক জুই চাকমা এবং কাউখালী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পাইচিং মং মারমা।
কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন গজালিয়া জোতিবন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত রত্নপ্রিয় মহাথেরো এবং বিশেষ সদ্ধর্মদেশক ছিলেন শীলছড়ি অরণ্য ভাবনা কুঠিরের অধ্যক্ষ ভদন্ত সাধনানন্দ মহাথেরো। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রবাসী রিপন বড়ুয়া এবং উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জীবন বড়ুয়া।
এর আগে সকালে অষ্টপরিস্কার, সংঘদান ও সদ্ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন বেতাগী সার্বজনীন রত্নাকুর বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ইদ্দিপিঞ্ঞা মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে এলাকার কৃতি সন্তান প্রকৌশলী পবন বড়ুয়া নিশানকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি মোঃ মোবারক হোসেন বলেন,
“জীবে প্রেম করে যে জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। জীব হত্যা মহাপাপ। সৃষ্টিকে ভালোবাসা এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তিই মানুষের প্রকৃত ধর্ম। আমরা যদি প্রেম, সম্মান ও শান্তির পথ অনুসরণ করি, তাহলে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব উপকৃত হবে।”
পরে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি এবং পুণ্যার্থীরা চীবর দান করেন। এ সময় ‘সাধু, সাধু, সাধু’ ধ্বনিতে পুরো বিহার প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।