সংবাদ প্রতিবেদক: কাজল,গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন ৬ নং ওয়ার্ডের নামা বাজার এলাকায় একটি সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপে নির্মাণাধীন মূর্তি ও পূজা সামগ্রী ভাঙচুরের ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—বারেন্ডা গ্রামের মেহেদী হাসান সুমন ওরফে রাকিব (বাবা: হারুন-অর-রশিদ) এবং হাতিমারা গ্রামের নাজমুল ইসলাম (বাবা: শাহাজালাল)। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে রাকিব এবং মঙ্গলবার ভোরে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, তারা মূর্তি ও পূজা সামগ্রী দেখার জন্য সেখানে গিয়েছিল। কারিগররা মণ্ডপ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলে তারা তা অমান্য করে ঢুকতে চেয়েছিল, কথায় কথায় তর্ক-বিতর্কের পর ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে মূর্তি ও পূজা সামগ্রী ভাঙচুর করেছে। যদিও মূল দোষ কিশোরদের, নির্মাণাধীন পূজা মণ্ডপ ও সামগ্রী ভাঙার ফলে সামগ্রিক দুর্ভোগ হয়েছে।
ঘটনার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জিএমপি’র ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জাহিদুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান, এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা আয়োজকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কাশিমপুর থানার অন্যান্য অফিসাররা।
কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া দুইজনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। জাহিদুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধর্মের উপাসনালয় বা পূজা সামগ্রী ভাঙচুর করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুই কিশোর অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে, এবং পুলিশ প্রশাসনের সম্পূর্ণ তৎপরতায় মণ্ডপে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।