জাকির হোসেন হাওলাদার, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলায়, লেবুখালী পায়রা সেতুর ওজন স্কেলে চলছে প্রকাশ্য কারচুপি ও চুক্তিভিত্তিক টাকা আদায়। ওভারলোড ট্রাকগুলোকে মাপজোক না করেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে চুক্তি মোতাবেক টাকা নিয়ে। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব, আর দায়িত্বরত টোলকর্মীরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে আদায়কৃত টাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাত ও ভোরে ওভারলোড ট্রাক চালকদের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে “চুক্তি” করা হয়। এরপর স্কেলে ট্রাক না উঠিয়েই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিয়ে ছাড়পত্র দেয়া হয়। সোমবার গভীর রাতে ২২ টন ধারণক্ষমতার একটি ট্রাকে ২৮ টন মাল বোঝাই থাকা সত্ত্বেও মাত্র দুই হাজার টাকায় ছেড়ে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট টোলকর্মীরা কোনো রেকর্ড ছাড়াই টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, স্কেলে যারা দায়িত্বে আছেন, তারা নিয়মিতভাবে এ ধরনের অবৈধ আদায় চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে বা নিয়ম মেনে ওজন নিতে চাইলে নানা অজুহাতে দেরি করিয়ে হয়রানি করা হয়। এতে সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হলেও প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততার কারণে কেউ মুখ খুলছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রাকচালক বলেন, ওভারলোড থাকলে ফোনে আগেই যোগাযোগ করতে হয়। তারা টাকা ঠিক করে দেয়, দিলে কোনো ওজন নেয় না-সরাসরি যেতে দেয়।পায়রা সেতু কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিষয়টি অনৈতিক এবং সরকারি রাজস্ব ক্ষতির কারণ। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, ওজন স্কেল কারচুপির এ চক্রের সঙ্গে কিছু টোলকর্মী ছাড়াও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন। তারা দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সরকারি রাজস্ব ফাঁকি ও সড়ক অবকাঠামোর ক্ষতি রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারি জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সচেতন মহল মত দিয়েছেন।