নিজস্ব প্রতিবেদক | ঢাকা : ঢাকা মহানগরীর ৬২ নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন ধরে চলমান তীব্র গ্যাস সংকট নিরসনে আজ গ্যাস অফিসে জরুরি বৈঠক করেছেন এলাকাবাসীর কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। বৈঠকে তিতাস গ্যাসের ডিজিএম মুস্তাফিজুর রহমানের কাছে তারা সমস্যার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
বৈঠকে এলাকাবাসী জানান, ভাঙা প্রেসের পাশে একটি গ্যাস চাবি (ভাল্ব) পাওয়া গেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে। এ সময় পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখতে পান, ৪ ইঞ্চি মূল গ্যাস লাইনের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দুটি সন্দেহজনক সংযোগ রয়েছে—যেগুলো বৈধ না অবৈধ, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ডিজিএম মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে জানান, তদন্ত শেষে এই দুইটি সন্দেহজনক সংযোগ বিচ্ছিন্ন (আউট) করা হবে। তিনি এ জন্য তিন দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেন।
তবে আশ্বাসের বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এলাকাবাসীর অভিযোগ,
আশ্বাসের পর মাত্র একদিন গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু আজ রবিবার থেকে আবারও সম্পূর্ণ গ্যাস বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে শত শত পরিবার।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বলেন,
“আমরা বারবার তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশ্বাস পাই, কিন্তু স্থায়ী সমাধান পাই না। তিন দিনের সময় পার হয়ে গেলেও যদি গ্যাস সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হয়, তাহলে আমরা বাধ্য হয়ে কঠোর আন্দোলনে নামবো।”
এলাকাবাসী এ বিষয়ে ডিসি মহোদয়, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও গ্যাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
এলাকাবাসীর কণ্ঠে হতাশা—
“এই সমস্যা থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পাব, তা আল্লাহই ভালো জানেন।”
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।