বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা কমে গেছে এ কথাটি সঠিক নয়। হ্যাঁ একসময় ১২০০ সিনেমা হল ছিল। এখন তা কমতে কমতে এক-দেড়শতে এসে দাঁড়িয়েছে। করোনার প্রভাবে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি স্লথ হয়ে গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত কিছু ছবির কল্যাণে সে সংখ্যা ৩০০তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত বিসিআরএ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য একটি তহবিলের কথা অনেক দিন ধরে উপস্থাপিত হয়ে আসছিল। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমি ব্যাক্তিগতভাবেও চেষ্টা করেছি। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেওয়ার পর এই উন্নয়ন তহবিলে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অনুদান নিয়ে অভিযোগ উঠেছিলো যে, কমার্শিয়াল মুভির তুলনায় আর্ট ফিল্মে বেশি অনুদান দেয়া হচ্ছে। অভিযোগটিকে আমরা আমলে নিয়েছি। ফলে গত দুই বছরের আর্ট ফিল্মের পাশাপাশি কমার্শিয়াল ছবিতেও অনুদানের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া অনুদানের চলচ্চিত্র অন্তত ২০টি হলে মুক্তি দেওয়া হবে, এমন নিয়মও তৈরি করা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সংস্কৃতি অনেকটাই এখন লালন-পালন হচ্ছে বেসরকারি টেলিভিশনের হাতে। একটা সময় বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে দেখানো হতো। এর ফলে আমাদের দেশের শিল্পী বা কলাকুশলীরা কাজের সুযোগ পেত না। এর ফলে নিয়ম করা হয়েছে যে, কেউ একটার বেশি সিরিয়াল প্রদর্শন করতে পারবে না। এছাড়া টিভি বিজ্ঞাপনে বিদেশি অভিনেতা দিয়ে অভিনয় করানো হতো। সে প্রবণতা কমানোর জন্য প্রতি বিদেশি অভিনেতার জন্য ২ লাখ টাকা ট্যাক্স এবং টিভির জন্য ২০ হাজার টাকা ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে নির্মাতারা দেশীয় শিল্পী দ্বারা নির্মাণের হার বাড়িয়েছেন।