সংবাদ প্রতিবেদক: কাজল
ঢাকা-সাভার আশুলিয়ার জামগড়ার একটি গার্মেন্টস কারখানায় টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে প্রোডাকশন ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে একের পর এক শ্রমিককে অমানবিকভাবে চাকরিচ্যুত করেছেন।
সূত্র জানায় শ্রমিক রফিকুল ইসলাম (সুইয়িং অপারেটর আইডি ৫৪৮৪) সহকর্মী শিমু আক্তারের প্রকাশিত একটি টিকটক ভিডিওতে মন্তব্য করার পর ভিডিও প্রকাশকারী তরুণী অভিযোগ করেন। কিন্তু কোনো তদন্ত বা যৌক্তিক প্রক্রিয়া ছাড়াই ঘাতক আরিফুল তৎক্ষণাৎ রফিকুলকে চাকরিচ্যুত করেন। এখানেই থেমে থাকেননি। একসঙ্গে ৫২ জন শ্রমিককে নির্দয়ভাবে ছাঁটাই করেন তিনি।
ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বক্তব্য একজনের ব্যক্তিগত অভিযোগকে কেন্দ্র করে ৫২টি পরিবারের জীবিকা ধ্বংস করা অমানবিক ও জঘন্য অপরাধ। একজন নারীর অযৌক্তিক অভিযোগকে হাতিয়ার বানিয়ে আরিফুল পুরো শ্রমিক সমাজকে জিম্মি করেছেন। এর ফলে মা-বাবা ভাই-বোন স্ত্রী-সন্তানসহ শতাধিক মানুষ অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। এটি শ্রম আইন ও মানবাধিকারের নগ্ন লঙ্ঘন।
শ্রম অধিকারকর্মীরা বলেন এ ধরনের পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত কেবল একজন শ্রমিক নয় বরং পুরো গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের সুনাম কলঙ্কিত হবে। ঘাতক আরিফুলের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ড শিল্পাঞ্চলে মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর আর্তনাদ একটি সাধারণ মন্তব্যের কারণে জীবিকা বন্ধ করে দেওয়া হত্যার শামিল। সন্তানদের ভবিষ্যৎ ও পরিবারের ভাতের থালা লাথি মেরে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন আরিফুল।
সচেতন মহলের হুঁশিয়ারি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে শ্রমিকদের ক্ষোভ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়বে। এতে গার্মেন্টসে যে কোনো সময় বিস্ফোরক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ঘাতক আরিফুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে শ্রমিকরা আন্দোলনে নামবে।
এখন উত্তপ্ত শ্রমিক সমাজ একবাক্যে বলছে— ঘাতক আরিফুলকে এক ঘণ্টার মধ্যেই গার্মেন্টস থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় এই ক্ষোভ দাবানল হয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রূপ নেবে।