প্রতিবেদক: কাজল, গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ডের এনায়েতপুর /বারেন্ডা উত্তরপাড়া এলাকায় একটি নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। নিজ ঘর থেকে গলাকাটা অবস্থায় জামান (৪২) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ। নিহত জামান ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা; পিতা আব্দুল জব্বার এবং মাতা মতিজা খাতুন।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে জামানের ঘরের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে সন্দেহ জাগে। ভেতরে ঢুকেই তারা দরজার পাশেই পড়ে থাকা গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। ঘরের মেঝে ছিল রক্তে ভেজা, পাশেই পড়ে ছিল একটি রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র। এলাকাবাসী তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দিলে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন।
পরে সিআইডির ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন টিম ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করে তদন্তে সহায়তা করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, এটি একটি পরিকল্পিত ও পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহত জামানের দুটি স্ত্রী রয়েছে। পারিবারিক টানাপোড়েন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও পূর্ব বিরোধসহ সকল সম্ভাব্য দিককে বিবেচনায় রেখে তদন্ত চলছে।
ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, “আমরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। নিহতের পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সঠিক তদন্তের স্বার্থে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
কাশিমপুরের এই হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে এলাকাজুড়ে চরম চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত জামানের পরিবার শোকাহত এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এলাকাবাসীও এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও বিচার সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন এলাকাবাসীর একটাই দাবি—অপরাধীদের খুঁজে বের করে, যেনো এমন নিষ্ঠুর হত্যার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।