1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
কুমিল্লায় নানা আয়োজনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টার পদত্যাগ তফসিল ঘোষণা আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় আইন ও অধিকার ফাউন্ডেশন, ফেনী জেলা শাখার কম্বল বিতরণ ১০ ডিসেম্বর “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস” উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েন অ্যাডভোকেট মোঃ এনামুল হক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট নিজাম হাজারীর নির্দেশে সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রে সক্রিয় লন্ডন আ’লীগ নেতা আগামী নির্বাচনকে স্মরণীয় করতে সব প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নরসিংদীর রায়পুরায় সন্ত্রাস দমনে কম্বিং অপারেশন আসছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেগে ওঠো জাতি—ন্যায় তোমার হাতে আগুন হয়ে অপেক্ষা করছে বিচারবহির্ভূত হত্যা–গুমের সবচেয়ে বড় শিকার বিএনপি: তারেক রহমান

কালিহাতীর পৌজান মুন্দইল গ্রামে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প বদলে দিয়েছে জীবনচিত্র।

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫
  • ১১৭ বার দেখা হয়েছে

 

গৌরাঙ্গ বিশ্বাস,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম—পৌজান মুন্দইল। এক সময় যেখানে কৃষিকাজই ছিল এখানকার মানুষের একমাত্র জীবিকার উৎস, সেখানে আজ ৪০টি পরিবার বইছে নতুন আশার হাওয়া। সরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়িত ‘প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প’ বদলে দিয়েছে এখানকার জীবনধারা, চিন্তাভাবনা এবং আয়ের পথ।

এই প্রকল্পের আওতায় গঠিত হয়েছে প্রোডিউসার গ্রুপ (পিজি) ও ডেইরী সদস্যদের সংগঠন। প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ পেয়ে গ্রামের অনেক নারী-পুরুষ এখন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন। গবাদি পশু ও দেশি-বিদেশি জাতের মুরগি পালনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই আয় করছেন তাঁরা।
বিশেষ করে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি এখন তাঁরা সফলভাবে পালন করছে দেশী মুরগি, নিয়মিত ডিম বিক্রি করছেন, কবুতর এবং মাসিকভাবে উপার্জন করছেন উল্লেখযোগ্য অঙ্কের অর্থ।
ডেইরী খাতে সাফল্যের দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে এসেছে গ্রামের একাধিক সদস্যের নাম।
পিজি সদস্য আমানত সাধু বলেন, আগে ভাবতেই পারিনি এত আয় সম্ভব। এখন গাভী পালন করছি, প্রতিদিন প্রতিটি গাভী থেকে গড়ে ৩৫-৪০ কেজি দুধ পাচ্ছি। সেই দুধ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে শহরেও বিক্রি হয়। পাশাপাশি আমি ঘাসের আবাদও করছি—নিজের জমিতেই চাষ করে মেশিন দিয়ে কেটে গরুকে খাওয়াই। এতে খরচ কমে, গাভীর স্বাস্থ্যে উন্নতি হয় এবং দুধের পরিমাণ বাড়ে। প্রকল্পটি আমাদের জীবনে এক আশীর্বাদ।

শুধু দুধ উৎপাদন বা ডিম বিক্রি নয়—এই খামারগুলোতে এখন পরিবেশবান্ধব বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে, যা বাড়তি সুবিধা এনে দিয়েছে খামারিদের জীবনে। গবাদিপশুর মল থেকে উৎপাদিত বায়োগ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহার হচ্ছে, ফলে গ্যাস খরচ কমেছে। এমনকি কিছু খামারি সেই গ্যাস দিয়েই দুধের প্যাকিং, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও খামারের অন্যান্য কাজে বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র চালাচ্ছেন। পাশাপাশি বায়োগ্যাসের বর্জ্য দিয়ে তৈরি হচ্ছে জৈব সার—যা আবার খামারের আশপাশের জমিতে ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়ানো যাচ্ছে।
গ্রামের আরেক দম্পতি, শাহীন ও তাঁর স্ত্রী জানান,
দেশি মুরগি পালন করে এখন আমরা নিয়মিত ডিম বিক্রি করছি। আগে যেখানে দিন পার করাই কঠিন ছিল, এখন পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারছি। আর বায়োগ্যাস ব্যবহারে রান্নার খরচও অনেকটা কমেছে।
এই প্রকল্প শুধু ব্যক্তি বা পারিবারিক সাফল্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি স্থানীয় পর্যায়ে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। নারীদের হাতে এসেছে অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, বেড়েছে আত্মবিশ্বাস এবং ভেঙে পড়েছে পুরনো নির্ভরতাভিত্তিক জীবনচক্র।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আবু সাইম আল সালাউদ্দিন বলেন, এই প্রকল্প কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নের গল্প নয়—এটি একটি সামাজিক রূপান্তরের জ্বলন্ত উদাহরণ। সরকারি সহায়তা ও জনগণের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই গ্রামটি আত্মনির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। আমরা চাই, এই মডেল দেশের অন্যান্য গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ুক।

সঠিক দিকনির্দেশনা, প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ ও সরকারি সহায়তায় পৌজান মুন্দইল আজ আর শুধুই একটি গ্রাম নয়—এটি একটি অনুপ্রেরণার নাম। এ পথ অনুসরণ করে দেশের অন্যান্য গ্রামের জীবনেও বইতে পারে নতুন দিনের বাতাস।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com