1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
তৃতীয়বারের মতো পেছাল খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি সফল, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ — করা হয়েছে ছোট অস্ত্রোপচারও মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ছে ‘বিশ্ব গণমানুষ সেবা ফাউন্ডেশন’ ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ারদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে সরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল: আমিনুল হক আমরা পুরান রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু “খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীক”— আবেগঘন স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর দাউদকান্দিতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে তারেক রহমান—নেতাকর্মীদের দৃঢ় প্রত্যাশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের নাম চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন

আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫
  • ২১২ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ, আমাদের সংবিধান, শিশু আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে শিশুদের প্রতি সব ধরনের নিষ্ঠুুরতা, জোর জবরদস্তি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক শোষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার এবং যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, যেখানে দুঘর্টনার সম্ভাবনা রয়েছে এবং যার ফলে তার শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমন ধরনের কাজ থেকে শিশুর নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার আছে।

যেসব কাজ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং যে কাজ তার শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, নৈতিক বা সামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সে সব কাজ থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকারও শিশুর রয়েছে।

আমাদের শ্রম আইনেও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু নিয়োগ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুসারে কর্মরত শিশু বলতে বোঝায়, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সি বা কিশোর যারা সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা পর্যন্ত হালকা পরিশ্রম বা ঝুঁকিহীন কাজ করে। তবে কোনো শিশু (চৌদ্দ বছর পূর্ণ হয়নি এমন কোনো ব্যক্তি) যদি কোনো ধরনের ঝুঁকিহীন কাজও করে, তবে সেটা শিশুশ্রম হবে। তারাও কর্মরত শিশুদের মধ্যে পড়ে যায়। আর ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সি কেউ যদি সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টার বেশি কাজ করে, সেটা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম হিসেবে স্বীকৃত।

বাংলাদেশে বয়স অনুযায়ী ৭ বছরের নিচে শিশুর কোনো আইনগত দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা নেই, ৬-১০ বছরের নিচে শিশুর বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা, ১২ বছরের নিচে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ। ১৪ বছরের নিচে কারখানায় কাজ নিষিদ্ধ। ১৫ বছরের নিচে পরিবহণ খাতে কাজ নিষিদ্ধ। ১৬ বছরের নিচে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে শিশুকে কারাগারে রাখা বে-আইনি। সহিংসতা, অপব্যবহার ও শোষণের মতো প্রধান প্রধান যেসব হুমকি আছে সেগুলো সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে কিশোর বয়সেই। এই বয়সে প্রধানত কিশোররা অনিচ্ছা সত্ত্বেও দ্বন্দ্ব সংগ্রামে জড়িয়ে পড়ে অথবা শিশুশ্রমিক হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করা বা দারিদ্র থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ কমে যায়। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার মতো অধিকার থেকে বঞ্চিত পথশিশুতে জড়িয়ে পড়ে নানা ধরনের অপকর্মে। একশ্রেণির মাদক ব্যবসায়ী আছে- যারা পথশিশুদের দিয়েই মাদক সরবরাহ, ব্যবসা কিংবা পাচার করে। অনেক সময় পথশিশুরা নিজেরাও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

বিদেশে পাচারেরও শিকার হচ্ছে অনেক শিশু। দারিদ্র্যের কারণে নিজের ভালো-মন্দ না বুঝেই নানামুখী ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে। এছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষার অভাবও রয়েছে। শিশুদের দিয়ে কোনো রকমের অসামাজিক কার্য সম্পাদনের বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রথমে পথশিশুদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট পলিসি তৈরি করা উচিত। পথশিশুদের বিদ্যালয়মুখী করা ও তাদের পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের ভাবতে হবে। পথশিশুদের যেন কোনোভাবে মাদক ব্যবসায়ীরা টার্গেট করতে না পারে এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ শিশুবান্ধব সংস্থার উন্নয়নকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।

আমাদের দেশের অনেক ছিন্নমূল শিশু রয়েছে যারা দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। অনেক মানুষ রয়েছে, যাদের দিন কাটে অনেক কষ্টে। ঠিকমতো খাবার জোগাতে পারে না। তারা কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবে? এজন্য এসব শিশুকে শিক্ষাদানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এসব শিশুর অভিভাবকদের দারিদ্র্য দূরীকরণে আয় বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।

তাদের লেখাপড়া, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও মেধা বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। উন্নত দেশে দেখা যায়, শিশুর সব দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করে। আমাদের দেশেও অবহেলিত শিশুদের সব দায়িত্ব রাষ্ট্র নিতে পারে। পরিশেষে বলব, অবহেলিত শিশুদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের এগিয়ে আসা দরকার।

লেখক : মানবাধিকার NPS কমিটি ইনডিস্টিগেশন অফিসার সজল মালো ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com