বঙ্গ নিউজ বিডি কলকাতা প্রতিনিধি : আজ ৩০ শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ধর্মতলা y চ্যানেলের মধ্যে, আই সি টি ঐক্য মঞ্চ,- ৬ এন্ড ৭থ ফেস এর ডাকে, ৩৭১৯ জন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করলেন এবং ডেপুটেশন দিলেন নবান্নে অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারী এবং পি এন্ড এ আর ডিপার্টমেন্ট- ই গভর্মেন্ট সেল এর নিকট বেশ কয়েকটি দাবী নিয়ে।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন- সুদীপ দাস, আশীষ বিশ্বাস, উমর ফারুক, অচিন্ত্য বিশ্বাস, মফিজুল রহমান ,তালাক মোফিক সহ অন্যান্যরা।
তাহারা জানান আমরা ২০২১ এবং২০২২ সাল থেকে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে কর্মরত, ৩৭১৯ জন কম্পিউটার শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুলে যাবতীয় সমস্ত রকম কাজ কর্ম করে চলেছি।, এমনকি স্কুল স্তরের সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন- কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, সবুজ সাথী, তরুণের স্বপ্ন, মার্কস এন্ট্রি, বাংলার শিক্ষা ,পোটাল ইত্যাদির কাজগুলি করে থাকি। স্কুলের জেনারেল ক্লাস থেকে শুরু করে ছেলে মেয়েদের আধুনিক শিক্ষার শিক্ষিত করে তোলার জন্য কম্পিউটার শিক্ষা অনবরত প্রদান করে থাকি। অথচ আমরা কোনরকম বেতন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কিছুই পাই না, সমস্ত কিছু কাজ করার পরেও মাসের শেষে আমরা পায় হাতে সাত থেকে আট হাজার টাকা। এতে কি কারো সংসার চলে, অথচ অন্যান্য যারা একইভাবে একই সঙ্গে কাজ করছেন তারা পায় ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা। সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা। উদাহরণ দিয়ে বোঝান, যদি আমাদের পরিবারে মধ্যে অকেশনে কিছু কিনতে হয় সেটাও আমাদেরকে চিন্তা করতে হয়। কারণ আমরা অন্যান্যর মত ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা মাইনে পাইনা। তাই আমাদের ছেলেমেয়েদের মিথ্যে কথা বলে বুঝাতে হয়।
আবার অনেক চাকুরী প্রার্থী বলেন, আমাদেরকে যে সকল জায়গায় কাজ করতে যেতে হয় আমাদের যাতাতেই পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচা হয়ে যায়। তাহলে পরিবারের মুখে অন্য দেব কি করে, তাই আমরা এই প্রতিবাদ করতে ওয়াই চ্যানেলে বসেছি। আমরা আশা করছি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কথা বিবেচনা করবেন। এবং আমরা আশাবাদী কিছু একটা আমাদের জন্য করতে পারবেন।
আজকের এই মঞ্চ থেকে দুইজন কর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সবাই উঠে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করলেন, যারা দুইজন সকলকে সহকর্মীকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়েছে ।
এর আগে আমরা বহুবার সমস্ত জেলার ডি আই অফিস ,ডি এম অফিস, শিক্ষা দপ্তর , পি অ্যান্ড এ আর ডিপার্টমেন্ট ডেপুটেশন দিয়েছি, এমনকি নবান্নতেও বারংবার আবেদন জানিও আমাদের সমস্যার কোন প্রকার সূরাহা হয়নি, তাই আজ পুনরায় আমরা এই প্রতিবাদ জানিয়ে, ডেপুটেশন দিলাম।
আজকের প্রতিবাদ সভায় প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি চাকুরী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে, তার সাথে সাথে জয় বাংলার স্লোগান দিলেন। ফাইল গুলি শুধু উপরে উঠা নামা ছাড়া কোন কাজ হয়নি।, এক টেবিল থেকে আরেক টেবিলে শুধু ঘোরাফেরা করে।
আমরা এখনো আশাবাদী এবং আশায় রয়েছি, এবার কিছু একটা করবেন। আমরা আন্দোলন করতে চাইনি কিন্তু আমাদের আর করার কিছু নেই।
আমাদের দাবী –
সমকাজে সমবেতন।
এজেন্সী মুক্ত করতে হবে।
অন্যান্য ফেস দের মতো আমাদেরও স্থায়ীকরণ করতে হবে।
৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির সুনিশ্চিত করতে হবে।
অন্যান্যদের মতো আমাদেরও সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
তাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের দাবী গুলি খুব শীঘ্রই পূরণ করতে সচেষ্ট হবেন । আমরা এই সরকারের বিভিন্ন কর্মধারার সাথে ছিলাম ও থাকবো।
আমরা সকলে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটাই অনুরোধ করবো, আর আমাদের এতে চলছেনা, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমাদেরও কারো ছেলে মেয়ে আছে, আমাদেরও সকলের ঘরে সংসার ও বাড়িঘর আছে, সংসার আর চলছে না, তাই আপনারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করে আমাদের মুক্ত করুন।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ