1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
১৫ বছরে কৃষিক্ষেত্র ধ্বংস করে দিয়েছে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার- আবু নাসের মোঃ রহমাতুল্লাহ জনমুখী ও কার্যকর সেবা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে হবে রামগোপাল ব্রহ্মচারী আশ্রমে ৬৮তম তারকব্রহ্ম হরিনাম মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত ডঃ এনামুল হক চৌধুরীর সম্মানে ক্যাম্পেইন কমিটি ইউকে ফর ফুল্লী ওসমানী ইন্টারন্যাশনেল এয়ার পোর্টের মত বিনিময় সভা: গাইবান্ধায় ময়না বিবি মহিলা কল্যান সংস্থা উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ বর্তমান পরিস্থিতিতে কালাইয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে ক্যাবের বাজার মনিটরিং মাস্টার বিল্ডার লিমিটেডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন কয়রায় খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের সূধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা দুই ট্রফি নিয়ে রংপুর আসছে রংপুর রাইডার্স সন্ত্রাস নৈরাজ্য চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে ডেমরায় বিএনপির বিক্ষোভ।।

শীতে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যত্ন নেবেন যেভাবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৯১ বার দেখা হয়েছে
  • বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শীত আসতে না আসতেই ত্বকের যত্নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? ত্বকের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টস কিনে ফেলেছেন? ত্বকের যত্নে নেবেন ঠিক আছে, কিন্তু এর পাশাপাশি চোখের খেয়ালও রাখতে হবে।

    গবেষণা মতে, অন্য মৌসুমের তুলনায় ঠান্ডার দিনগুলোতে চোখের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায় বলে চোখ উক্ত্যক্ত হতে পারে ও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।

    শীতকালে চোখের সবচেয়ে প্রচলিত সমস্যা হলো, শুষ্কতা। অর্থাৎ চোখ সহজেই শুকিয়ে যায়। এটা চোখে জ্বালাপোড়া বা চুলকানির কারণ হতে পারে। এমনকি এটাও মনে হতে পারে যে, চোখে কিছু একটা পড়েছে।

    চোখ শুষ্ক হওয়ার অন্যতম কারণ হলো, ঘর ও অফিসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া। সাধারণত শীতে ঠান্ডা এড়াতে জানালা দীর্ঘসময় বন্ধ রাখা হয় ও হিটার চালু করা হয়। এর ফলে বাতাসের আর্দ্রতা আরও কমে যায়। এটা চোখের জন্য ভালো নয়।

    যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন, তাদের চোখ শুকানোর প্রবণতা বেশি। তবে যে কেউ সমস্যাটিতে ভুগতে পারেন। যাদের মাসিক চক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে যাচ্ছে এবং যাদের মেনোপজ (মাসিক চক্রের স্থায়ী সমাপ্তি) হয়েছে, তাদের চোখও সহজে শুকাতে পারে। এসময় নারীর শরীরে ইস্ট্রোজেন কমে যায় বলে এমনটা হয়।

    শীতকালে চোখ থেকে পানিও ঝরতে পারে। এ প্রসঙ্গে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে অবস্থিত প্রভিডেন্স হেলথ কেয়ারের ডিপার্টমেন্ট অব অফথালমোলজির প্রধান পিয়েরে ফেবার বলেন, ‘ঠান্ডা মৌসুমে কেউ কেউ চোখ থেকে প্রচুর পানি পড়ার কথা বলেন। এর কারণ হলো, চোখ শুকিয়ে গেলে ও উক্ত্যক্ত হলে বাড়তি অশ্রু উৎপাদন করে।’ চোখের শুষ্কতা দীর্ঘসময় বিরাজমান থাকলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে অথবা কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হলে সময় পরিক্রমায় অন্ধত্বেরও ঝুঁকি আছে।

    শীতকালে চোখের সুরক্ষায় করণীয়:

    চোখকে আর্দ্র রাখুন: ঠান্ডার মাসগুলোতে পানি পানের প্রবণতা কমে যায়। কিন্তু চোখকে আর্দ্র রাখতে এসময়ও প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে কমপক্ষে আট গ্লাস (প্রায় দুই লিটার) পানি পানের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এছাড়া যখন জেগে থাকবেন, তখন হিউমিডিফাইয়ার চালু করুন। এটা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগাবে।

    আই ড্রপস ব্যবহার করুন: চোখ শুকিয়ে গেলে স্বস্তি পেতে লুব্রিকেটিং আই ড্রপস বা আর্টিফিশিয়াল টিয়ারস ব্যবহার করতে পারেন। এটা ব্যবহার করতে চিকিৎসকের অনুমতি লাগে না, চোখে শুষ্কতার লক্ষণ থাকলেই ব্যবহার করা যাবে।

    কানাডার ওয়াটারলুতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলুর অন্তর্গত স্কুল অব অপ্টোমেট্রির সহযোগী অধ্যাপক রালফ চৌ বলেন, ‘লুব্রিকেটিং আই ড্রপস চোখের পানি দ্রুত উবে যেতে দেয় না।

    পলক ফেলুন: কম্পিউটার বা অন্য স্ক্রিনের দিকে একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকবেন না। ডা. চৌ জানান, ‘পলক ফেলার স্বাভাবিকতা ব্যাহত হলে চোখ দ্রুত শুকিয়ে যায়।’ তাই স্ক্রিন সংক্রান্ত কাজ করার সময় স্মরণে রাখুন যে, ঘনঘন পলক ফেলতে হবে। কেবল স্ক্রিন নয়, পলক ফেলার হার কমাতে পারে এমন যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেও পরামর্শটি প্রযোজ্য।

    সানগ্লাস পরুন: সানগ্লাসের ব্যবহার কেবল গরমকালে সীমাবদ্ধ নয়, বরং শীতকালে এটার গুরুত্ব আরও বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডার দিনগুলোতে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ভয়াবহ ক্ষতি করতে পারে। যারা সানগ্লাস ছাড়াই সূর্যালোকে বেশি সময় কাটান, তাদের চোখে ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    এছাড়া সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে চোখের পাতাও স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকে। চোখকে প্রায় ১০০% সুরক্ষা দিতে ইউভি ৪০০ প্রটেকশনের সানগ্লাস পরুন। শীতে বাইরে সানগ্লাস ব্যবহার করলে বাতাসের শুষ্ক প্রভাব থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

    ডায়েটে ওমেগা ৩ রাখুন: গবেষণা বলছে, ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ খাবার খেয়েও শুষ্ক চোখে স্বস্তি আনা যায়। ওমেগা ৩ চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ডের কার্যক্রম উন্নত করে, যা অশ্রুর তৈলাক্ত অংশ উৎপাদন করে। এর ফলে শুষ্ক চোখের অস্বস্তি কমে। এটা চোখ শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও কমায়। সমুদ্রের তৈলাক্ত মাছে প্রচুর ওমেগা ৩ পাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্টও সেবন করতে পারেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com