বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফেসবুক লাইভে এসে অঝোরে কাঁদলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সোমবার ( ২৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার ভেরিফাউড আইডি থেকে লাইভে আসেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগের আমার একটি পোষ্টকে কেন্দ্র করে আমাকে এভাবে অপদস্থ করা ঠিক হয়নি।
ধারাবাহিকতায় তিনি বলেন, দেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের টকশোতে ব্যবসায়ীদেরকে বাটপার বলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। এক প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, হেলানা জাহাঙ্গীর আসবে জানলে আমি টকশোতে আসতাম না। কারণ উনাকে আমি চিনি না। আমি উনার সাথে কোনো কথা বলতে চাই না। ১১ মিনিটে বলে ২০০৮ সালের পরে যারা টাউট যারা সুবিধাবাদী তারাই আওয়ামী লীগেকে ব্যবহার করছেন।
হেলেনা জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমাকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছি। এটা উনি দিতে পারে না। উনি এ আদেশ দেওয়ার কে। আমি সেটাও বুঝতে পারলাম না। তিনি বলেন, আমি কি দূর্নীতি করেছি, খুন করেছি, রাষ্ট্রদ্রোহীতা করেছি। আমাকে দেখে বলে হেলেনা জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলবো না। আমি সরকারের জন্য একটা চ্যানেল চালাচ্ছি। ভর্তুকি দিয়ে চালাচ্ছি চার বছর যাবৎ। আমি চ্যানেলের বাহিরে কোনো কাজ করতে পারি না।
এর আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্যপদ হারিয়েছেন ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
নামের সঙ্গে ‘লীগ’ যুক্ত করে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগের অননুমোদিত একটি সংগঠনের সভাপতি পদে নাম আসার পর তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নিয়েছে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি।
এই উপকমিটিতেই সদস্য ছিলেন দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক পদে থাকা হেলেনা জাহাঙ্গীর।
জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দেন।
সম্প্রতি ফেইসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসে।
সেই কারণেই তাকে উপকমিটির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানান আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।