1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি সফল, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বন্ধ — করা হয়েছে ছোট অস্ত্রোপচারও মানবতার সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত গড়ছে ‘বিশ্ব গণমানুষ সেবা ফাউন্ডেশন’ ফায়ার সার্ভিসের ভলান্টিয়ারদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করছে সরকার- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে কিছু দল: আমিনুল হক আমরা পুরান রাজনীতি পরিহার করে নতুন রাজনীতি করতে চাই, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু “খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীক”— আবেগঘন স্ট্যাটাসে আসিফ আকবর দাউদকান্দিতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল এশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক নেতৃত্বে তারেক রহমান—নেতাকর্মীদের দৃঢ় প্রত্যাশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের নাম চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন ✦ এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা রহমান ✦

বজ্রপাতে নিহত ১৭ লাশ হতে পারে ‘ম্যাগনেট’, চুরি ঠেকাতে কবরে সিমেন্টের ঢালাই

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১
  • ২৩৮ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বাড়ির উঠানে কবরের সারি। লাশ চুরি ঠেকাতে বজ্রপাতে মৃত ১৭ জনকে দাফন করা হয়েছে বাড়ির সামনে। শুধু তাই নয়, রড-সিমেন্ট দিয়ে কবরের ওপর ঢালাইও দেওয়া হয়েছে। নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এসব কাজ করেন মৃতদের প্রতিবেশীরা।

বজ্রপাতে কেউ মারা গেলে সেই লাশ মূল্যবান কোনো বস্তু কিংবা ম্যাগনেটে পরিণত হয়। এমন ধারণা থেকে দেশে প্রায় বজ্রপাতে মৃতদের লাশ চুরির ঘটনা ঘটে। সেই আশঙ্কা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

বুধবার রাতে পারিবারিকভাবে নিজ নিজ এলাকায় জানাজা শেষে ১৭ জনকে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চর সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে গিয়ে কবর ঢালাইয়ের এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।

স্থানীয় খাইরুল ইসলাম ও শিমুল পারভেজ জানান, যারা মারা গেছেন তারা সবাই নতুন বিয়ে করা আল-মামুনের আত্মীয়। একই পরিবারে তার নানা, নানি, মামা, মামিসহ সাতজন মারা গেছেন। ওই পরিবারে একটি ছেলে ছাড়া কেউ বেঁচে নেই। আরেকটি পরিবারে তিন বছরের একটি শিশু ছাড়া আর কেউ জীবিত নেই। এমন ঘটনায় পুরো গ্রামবাসী কাঁদছে।

আমিনুল ইসলাম নামে আরেকজন জানান, বর মামুনের বোন ও দুলাভাইও বজ্রপাতে মারা যান। কিন্তু তার বোনের কোলে থাকা তিন বছরের সন্তানটি বেঁচে গেল।

বরযাত্রী মোফজ্জল হোসেন বলেন, আমরা রওনা দেওয়ার পর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। একদিকে উত্তাল পদ্মা নদী অন্যদিকে আকাশে ঘনকালো মেঘ। নদীর ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। তখন নৌকায় থাকা সবাই তড়িঘড়ি নদীর পাড়ে থাকা ছাউনিতে যেতে থাকেন। এমন সময় বজ্রপাত হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে সবাই মাটিতে পড়ে যান। পরে যার কাছেই যাই দেখি তিনি আর বেঁচে নেই। আর যারা বেঁচে আছেন তারাও ছটপট করছেন।

এক নারী বলেন, বৃষ্টির জন্য নদীর পাড়ে ছাউনি ঘরে আশ্রয় নেই। হঠাৎ বজ্রপাতের কারণে ছাউনিতে আগুন লেগে যায়। একটা আলোর ফুলকি আমার ডান হাতে লাগে। পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার পাশে লাশের সারি।

বড়ির উঠানে কবর দেওয়ার বিষয়ে প্রতিবেশী আলী হোসেন বলেন, বাপ-দাদার আমল থেমে শুনেছি বজ্রপাতে মৃতদের লাশ চুরি হয়। সেজন্য বাড়ির আঙিনায় সবাইকে দাফন করা হয়েছে। এতে সার্বক্ষণিক আমরা এসব লাশ পাহারা দিতে পারব।

বুধবার নৌকায় করে সদর উপজেলার নারায়ণপুর থেকে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা এলাকায় কনে আনতে যাচ্ছিলেন বরযাত্রী। ওই সময় বজ্রপাতে পাঁচ নারীসহ ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com