বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণমূলক একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। পরিবার, নেতৃত্ব, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা এই পোস্ট ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্টটি দেন জাইমা রহমান। সেখানে তিনি খালেদা জিয়াকে একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বরং একজন স্নেহশীল ‘দাদু’ হিসেবে তুলে ধরেন।
পোস্টে জাইমা রহমান লেখেন, শৈশবের এক স্মৃতিতে তিনি দেখেছেন—একজন রাষ্ট্রনায়ক হয়েও খালেদা জিয়া কীভাবে পরিবারের প্রতি গভীর মমতা ও মনোযোগ দেখাতেন। স্কুলজীবনে ফুটবল টুর্নামেন্টে মেডেল জয়ের গল্প তিনি নিজ হাতে দাদুকে বলতে গিয়ে যে উৎসাহ ও গর্ব অনুভব করেছিলেন, সেটিই তার জীবনের অন্যতম প্রিয় স্মৃতি।
তিনি উল্লেখ করেন, লাখো মানুষের কাছে খালেদা জিয়া ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু পরিবারের কাছে তিনি ছিলেন সময় দেওয়া, সাহস জোগানো একজন অভিভাবক। সেই ছোট ছোট মুহূর্ত থেকেই তিনি নেতৃত্বের প্রথম শিক্ষা পেয়েছেন—নম্রতা, আন্তরিকতা এবং মন দিয়ে শোনার মানসিকতা।
পোস্টে প্রবাসজীবনের কথাও তুলে ধরেন জাইমা রহমান। তিনি জানান, দেশের বাইরে কাটানো দীর্ঘ ১৭ বছর তার দৃষ্টিভঙ্গিকে বৈশ্বিক করেছে, বাস্তববাদী করেছে, তবে হৃদয় সবসময় বাংলাদেশেই ছিল। লন্ডনে আইন পেশায় কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে মানুষের কষ্ট, ন্যায়বিচার ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে শিখিয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, নিজের দাদাকে তিনি কখনো দেখেননি, তবে সততা ও দেশপ্রেমের যে আদর্শ পরিবারে বহমান, তা তিনি তার ‘দাদু’ ও ‘আব্বু’র মধ্যেই দেখতে পেয়েছেন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টের আগে-পরে সময়গুলোতে নেপথ্যে থেকে তিনি সাধ্যমতো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন বলেও উল্লেখ করেন।
পোস্টের শেষাংশে জাইমা রহমান জানান, বহু বছর পর তিনি দেশে ফিরছেন। দেশে ফিরে বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থাকতে এবং তারেক রহমানকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চান। একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে দেশের জন্য নিজের সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও কৌতূহলের বিষয়টি তিনি উপলব্ধি করেন এবং সেই প্রত্যাশা পূরণের দায়ভারও অনুভব করেন। নিজের গল্পের মধ্য দিয়ে তিনি সবাইকে একসঙ্গে পথচলার আহ্বান জানান।
এই আবেগঘন পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা ও প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।