ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির জমকালো আয়োজনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমাপণী বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সম্মেলন সফল করবার জন্য নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিএনপির আগামীতে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে জন সাধারণের প্রত্যেক সেক্টরে উন্নতির জন্য কাজ করার নিজস্ব কর্মসূচি রয়েছে। সমাজে বেকারত্ব দূর করা, শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন, নারী সমস্যার সমাধান, মানুষের ভেতর থেকে জনবান্ধব নেতৃত্ব বের করে আনা, রাষ্ট্রের শাসকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে যা বিগত স্বৈরাচারী শাসন আমলে ছিল না। এই সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচন যেভাবে কাউন্সিলরদের মতের প্রতিফলন তেমনি বিএনপির আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে জনমতের প্রতিফলন, যা জন সাধারণের কল্যাণের একটা রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলবে।
এর আগে কাউন্সিলরদের ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড বদিউজ্জামান চৌধুরী। মির্জা ফয়সাল আমিন কে সভাপতি ( বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) সভাপতি এবং পয়গাম আলীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সমাপণী অনুষ্ঠানে বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন তিনি ।সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান, সামসুজ্জামান দুদু।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ যে সময়ে আমরা এই সম্মেলন করছি তা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, দীর্ঘ ত্যাগ, জীবন দান,জেল-জুলুম সহ্য করে আজ আমরা জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছি। সম্মেলনস্থল ঠাকুরগাঁওয়ের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড়মাঠ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই জায়গায় দাঁড়িয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বক্তব্য দিয়েছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া একাধিকবার এখান থেকেই তার তাঁর নির্বাচনের বিজয়ী অভিযান করে গেছেন । আমাদের তরুণ পথ-প্রদর্শক তারেক জিয়াও এই মাঠে সফল জনসভা করে গেছেন।
জাকির মোস্তাফিজ মিলু