হাসনাত তুহিন (ফেনী) প্রতিনিধি : দাগনভূঞা উপজেলার এয়াকুবপুর ইউনিয়নের বরইয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার রুহুল আমীন। এ মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত আতংকের মধ্যে রেখেছে এলাকার চিহ্নিত জোর জবর দখল বাজরা। পলাতক এ দখল বাজরা মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখলে রেখেছে বলে সাংবাদিকেদর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। বাড়াবাড়ি করলে প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়েছেন বলে মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ। মুক্তিযোদ্ধার লিখিত অভিযোগে আরো জানানো হয়, এ মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীর অংশের কিছু জায়গা জোর করে দখল রেখেছে তার ভাই লোকমান হোসেন ও বিমাতা ভাই আনোয়ার হোসেন। বাড়ীর এবং এলাকাবাসীর একাধিক শালিশ মিমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি ঘটে। এরপরও তারা দুইজন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে হিংস্র আচরন করে নিয়মিত হয়রানী করে যাচ্ছেন। অপর দিকে এই মুক্তিযোদ্ধার নতুন বাড়ীর পাশে সাড়ে সাত শতক খরিদা ভূমি জলকরে জোর পূর্বক বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে দখল রেখেছেন দাগনভূঞা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল ফোরকান বুলবুল। যারফলে মুক্তিযোদ্ধা তার এ জায়গাটিও ব্যবহার করতে পারছেন না। এ ছাড়াও আরো ৩টি ফলজ সুপারী গাছ ও ১টি তাল গাছ কেটে উক্ত জায়গায় গেইট তৈরি করে পেলেছে দখলবাজ বুলবুল চেয়ারম্যান। মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মাষ্টার অভিযোগ করেন, পিতা আজিজুল হক থেকে প্রাপ্ত ভাই বোনের জায়গার বিরোধ মিমাংসা হয় ২০১২ সালে। তাদের ওয়ারিশি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এলাকার সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতি ও শালিশ নামার মাধ্যমে বিরোধও নিষ্পত্তি হয়। শালিশনামা মোতাবেক তার ভাই লোকমান হোসেন ও বিমাতা ভাই আনোয়ার হোসেন তার প্রাপ্য অংশ বুঝে নিয়েছে ২০১২ সালের ১৯ ডিসেম্বর। তারপর ও বাড়ীর অংশের জায়গা দখলে নেয়ার জন্য তাকে হুমকি দমকি দিয়ে নিয়মিত আতংকের মধ্যে রাখছেন বলে রুহুল আমীন জানান। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ৫নং এয়াকুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অবৈধ দখলবাজ আবুল ফোরকান বুলবুলের সহযোগিতায় তার উপর এরা জুলুম করে যাচ্ছে।
এবং বুলবুল চেয়ারম্যান নিজেও আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে তার সাড়ে সাত শতক জলাশয়ের জায়গা দখলে রেখেছে।এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন দালিলিক প্রমাণ সাপেক্ষে তার পাওনা সম্পত্তি বুঝে পেতে ২০২৩ সালে দাগনভূঞা উপজেলা ভূমি কমিশনারের নিকট আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি পুনরায় সামাজিক ভাবে নিষ্পত্তির নির্দেশনা আসে। নির্দেশনা মোতাবেক গত ৩ জুলাই শালিশ হয়। শালিশে উভয় পক্ষকে তাদের একে অপরের দেনা পাওনা সঠিক বন্টনের মাধ্যমে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে সবাই সম্মত হন। এবং লোকমানের কাছে দখলে থাকা আধা শতক জায়গা মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীনকে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শালিশদার গন লিখিত শালিশ নামাও প্রদান করেন। কিন্তু তার ভাই এবং লোকমানের বড় জামাতা আনোয়ার হোসেন রুহুল আমীন মাষ্টারকে বিভিন্ন সময়ে আচরন খারাপ করে কথা বলে যাচ্ছেন। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি প্রশাসন ও সাংবাদিকের দারস্থ হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল বিষয় জানতে চাইলে এলাকার শালিশদার অনেকেই বিষয়টির সত্যতা দেন। ভাই লোকমানের মেয়ের জামতা আনোয়ার হোসেন জানান,তার জেঠা শশুর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগ গুলো সত্য নয়। চেয়ারম্যান বুলবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি স্ব পরিবারে পলাতক রয়েছেন।