রনজিৎ সরকার রাজ দিনাজপুর প্রতিনিধি :মনি-মুক্তা চিকিৎসাবিজ্ঞানের কল্যাণে দুই বোনকে আলাদা করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে জোড়া লাগানো শিশুর সফল পৃথককরণ করা হয়।
আর ঝুঁকিপূর্ণ এ চিকিৎসায় বাংলাদেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক এ আর খানের সাফল্য বিশ্বদরবারে চিকিৎসাবিজ্ঞানকে আরও সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।
এই সাফল্যের ইতিহাস বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের জয় প্রকাশ পালের মেয়ে মনি-মুক্তা।
মা-বাবার কোলে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মনি-মুক্তা এখন ঝাড়বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে পড়ে।
প্রতিবছর বাবা মা ভাই বোন সহ শিক্ষক ও তাদের বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশীরা ঘরোয়া পরিবেশে জন্মবার্ষিকী উৎযাপন করে। এবারো ২২ আগষ্ট শুক্রবার সন্ধ্যা নিজ বাড়িতে উৎযাপন করা হবে মনি-মুক্তার জন্মদিন।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে মনি-মুক্তা বলে, আমরা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। দেশবাসীর দোয়া এবং সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
জয় প্রকাশ পালের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী পালের গর্ভে ২০০৯ সালের ২২ শে আগস্ট পার্বতীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশনে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে মনি এবং মুক্তা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্ম নেয়।
পরে রংপুরের চিকিৎসকগণ ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যমজ বোনকে অস্ত্র পাচারের মাধ্যমে পৃথক করার পরামর্শ দেন।
তাদের পরামর্শ ক্রমে ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি ঢাকা শিশু হাসপাতালে মনি-মুক্তাকে ভর্তি করা হয়।
অতঃপর ২০১০ সালের ০৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শিশু হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এ আর খানের সফল অপারেশনের মাধ্যমে মনি-মুক্তা ভিন্ন সত্ত্বা লাভ করে। বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে সৃষ্টি হয় এক নতুন ইতিহাস।