নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঢাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর অভিযোগে ৯৫ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নাম প্রকাশ করেছে ‘জুলাই ঐক্য। তার মধ্যে অন্যতম সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় কোটায় বিসিএস ডেমরা সার্কেলের সহকারী কমিশনার ভুমি মো. জাকির হোসেন।
সাম্প্রতিক জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তালিকা প্রকাশ করেন শহিদ মুন্তাসির রহমান আলিফের বাবা গাজীউর রহমান।
৩১৫ পিস গুলির নির্দেশ দাতা এসিল্যন্ড জাকির হোসেনের নির্দেশেই ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই পুলিশের গুলিতে প্রান হারায় রামপুরা বনশ্রীতে ৪ জনের ও বেশি ছাত্র।
গত ৩০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক তার বদলির আদেশ হলেও তিনি স্বপদে বহাল থাকেননি মতিঝিল সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করে যাচ্ছেন। সরেজমিনে জানাযায় গত ১৭ মে সার্বেয়ার আনোয়ার হোসেনের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক বদলির অর্ডার হলে জাকির হোসেন তাকে স্বপদে বহাল রাখেন এবং তার দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশাল বানিজ্য করে যাচ্ছেন বলে জানাযায়।
শেখ হাসিনার দোসর এই জাকির শুধু দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে বানিজ্য করেই শেষ নয় ঢাকায় থেকে সরকার বিরোধী নানান কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তালিকায় থাকা ম্যাজিস্ট্রেটদের অনেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা আন্দোলনের সময় গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী বলেন, আমরা আজ যে তালিকা প্রকাশ করেছে, এটি মূল তালিকার অংশবিশেষ মাত্র।
সংগঠক প্লাবন তারিক বলেন, “আওয়ামী লীগের আমলে অনেক আমলা সুবিধা নিয়েছেন। কেউ সাতক্ষীরার ডিসি ছিলেন, যিনি নিজে বাড়িঘর ভেঙেছেন, ছিলেন আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থক। তারা আজও প্রশাসনে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।”
সংগঠনটি অভিযোগ করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। তারা বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করছে এবং শহিদদের রক্তের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্থানে থেকে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ৯৫ ম্যাজিস্ট্রেটের তালিকার মধ্যে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন,
উজ্জল কুমার হালদার, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর অমিত কুমার সাহা, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শামসুজ্জাহান কনক, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার সোনিয়া হোসেন জিসান, ঢাকা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার আফরিন জাহান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শরিফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার অংমাচিং মারমা, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সায়েম ইমরান, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া আক্তার, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান রাসেল, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা।
সূত্রে জানা যায় মোঃ জাকির হোসেন আন্দোলন চলা অবস্থায় তিনি রামপুরা এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন, এর আগে তিনি ধানমন্ডি এসিল্যান্ডের দায়িত্বে থাকলেও আন্দোলনকে প্রতিহত করতে এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বাড়তি দায়িত্ব দেয় স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। নির্বিচারে মানুষ হত্যা করলেও এখানো জাকির হোসেন রয়েছে বহাল তবিয়তে।