কক্সবাজার থেকে :কামরুন তানিয়া : পি.এম.খালী আদর্শ আলিম মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, পি.এম.খালী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি,বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হাফেজ মোস্তাক আহমেদকে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তাঁর এ মনোনয়নকে স্বাগত জানিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন উত্তর পাতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং কমজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কক্সবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এম. হাসান।
জানা যায়, শৈশবে তিনি পাতলী তাহফীজুল কুরআন হেফজ খানা থেকে পবিত্র হিফজুল কুরআন সমাপ্ত করে তাহার শিক্ষকের কাজ থেকে পাকড়ী গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু করে প্রায় ১৫ টি বছর কক্সবাজার জেলা সহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন মসজিদে খতমে তারাবী পড়ান। তিনি পরবর্তীতে ধাপে ধাপে দাখিল, আলিম,ফাযিল,কামিল সহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষা জীবনের মধ্যে খানে তিনি উত্তর পাতলীর শিক্ষানুরাগী ছাত্র ও যুবকদের কে সাথে নিয়ে ১৯৯৯ সালে এলাকার সামাজিক উন্নয়নের ও সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধের জন্য ইসলামী সমাাজ কল্যাণ পরিষদ নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেন। পরবর্তীতে ২০০০সালে ঐ সংগঠনের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পাতলী মিশকাতুন্নবী (সাঃ) মাদ্রাসা গড়ে তুলেন। বর্তমানে অত্র মাদ্রাসাটিতে প্রায় ৪০০ ছাত্র ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছে। মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রদের মধ্যে অনেকই শিক্ষক, ডাক্টার,ইন্জিনিয়ার, এডভোকেট, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৭০ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ২ টি ভবন ও একটি মসজিদ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি পি,এম,খালী ইউপি নির্বাচনে নিকটতম প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দুইবার বিজয় লাভ করেন। পি এম,খালী ৬নং ওয়ার্ডে তথা তাহার নির্বাচিত এলকায় প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে চলাচলের রাস্তা, টিউবওয়েল, ড্রেন,গাইড ওয়াল আশ্রয় কেন্দ্র সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নেন। দীর্ঘ ১০ টি বছর সুনামের সাথে জনগণ কে ইউপি সেবা প্রদান করেন। পি, এম,খালীতে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেন। আগামীতে তিনি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখার প্রত্যাশা করেন।
এ বিষয়ে এম হাসান বলেন, “মাটি ও মানুষের পরম বন্ধু হাফেজ মোস্তাক আহমেদ একজন আদর্শবান ও শিক্ষানুরাগী মানুষ। তাঁর নেতৃত্বে মাদ্রাসাটি সুদৃঢ় ও আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে—এমনটাই প্রত্যাশা করি।
এমন ইতিবাচক ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব পেয়ে এলাকাবাসীও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।