বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে যে সংঘাত শুরু হয়েছে তা নিরসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধান তিনটি দলকে শর্তহীন সংলাপের যে আহ্বান জানিয়েছে এ সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে মুখ খুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি জানিয়েছেন, সংলাপে সরকারের কোনো আপত্তি নেই, তবে কার সঙ্গে সংলাপ সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। চিঠিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলগুলোকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানান সম্প্রতি একাধিকবার বাংলাদেশ সফর করা এই মার্কিন কূটনীতিক।
যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ রকম পরামর্শ বহুত আসে। আসুক, আমরা দেখি পরামর্শ যেগুলো আসে সেগুলো প্রয়োগ করা যায় কি না, বাস্তবতা দেখতে হবে। ডিএসের (ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন) ক্ষেত্রে বিদেশিরা বলেছে, আমরা ওটা গ্রহণ করেছি। আমরা খুব বাস্তবসম্মত দেশ, খুব বাস্তববাদী সরকার। মানুষের কোনো সত্যিকারের অভিযোগ থাকলে সেটা আমরা গ্রহণের চেষ্টা করি।
মোমেন বলেন, অন্যান্য দেশ যদি কোনো পরামর্শ দেয় আর সেগুলো যদি উন্নতমানের হয় আমরা তা গ্রহণ করি। খালি বললে তো হবে না। একজন বলল, শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার করতে। এটা করতে গেলে ওই মালিক ফ্যাক্টরি চালাতে পারবে কি না বা লাভ করতে পারবে কি না, সেটাও তো দেখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সমঝোতার উদ্যোগ নিচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ওদের জিজ্ঞেস করেন। তারা কী কারণে করেছে তাদের জিজ্ঞেস করেন। তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগ দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে চাই।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোথাও সাজাপ্রাপ্ত আসামি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এরইমধ্যে ওই চিঠির জবাব পাঠানো হয়েছে।