বেপারী মোহাম্মদ তিতুমীর (মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশে গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের পোশাক পরিহিত একটি ডাকাতদল স্বর্ণ ব্যবসায়ী দুই ভাইয়ের কাছ থেকে ১৪৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের তৎপরতায় লুণ্ঠিত স্বর্ণের বড় অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং ডাকাতদলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একজন সাব-ইন্সপেক্টর, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাইটিভির ঢাকার শাহ আলী থানা প্রতিনিধি ও মানিকগঞ্জ জেলার এক কৃষক লীগ নেতা রয়েছেন।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ৭ ডিসেম্বর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যাত্রীবাহী বাসে স্বর্ণ নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ভাই। গজারিয়া এলাকায় পুলিশের পোশাক পরা তিনজনসহ পাঁচজনের একটি দল বাস থেকে তাঁদের নামিয়ে “মাদক মামলা আছে” বলে হাতকড়া পরিয়ে একটি নোয়া মাইক্রোবাসে তোলে। পরে চোখ বেঁধে মারধর করে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গাজীপুরের কালিগঞ্জে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে অভিযান শুরু করে। ৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে ঢাকার কাফরুল, মিরপুর ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
তাঁদের কাছ থেকে ৯৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা (স্বর্ণ বিক্রির টাকা), ডাকাতিতে ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাস, দুজোড়া হাতকড়া, দুটি ওয়াকিটকি, তিন সেট পুলিশের ইউনিফর্ম ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এসবি পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মো. আক্তারুজ্জামান মুন্সি, মাই টিভির প্রতিনিধি মো. রমজান, মানিকগঞ্জ জেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী, মাইক্রোবাসচালক মো. জাকির হোসেন ও মিরপুরের জুয়েলার্স ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল হোসেন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। বাকি স্বর্ণ ও পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।