বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : সামাজিক পরিচয়ের আড়ালে ভয়ঙ্কর এক প্রতারকের হাতে সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশের ৪৪টি পরিবার। পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে লোক পাঠানোর প্রলোভনে হাতিয়ে নিয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সংগ্রহ করেছে ৪৪টি পাসপোর্ট—প্রতিদানে শুধু জাল ভিসা, মিথ্যা আশ্বাস আর প্রাণনাশের হুমকি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এস এম জাহাঙ্গীর কবির বাবু, যিনি নিজেকে পরিচয় দেন সমাজসেবক ও ‘ইউনাইটেড ডিসট্রিক্টস ক্লাব লিমিটেড’-এর সভাপতি হিসেবে।
এই ভয়ঙ্কর প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করেন ক্লাবটির সেক্রেটারি এ. কে. এম. কাফিল উদ্দিন সুমন। সভাপতি বাবুর কথায় বিশ্বাস করে তিনি নিজ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ও অর্থ সংগ্রহ করে দেন। বাবু ক্লাবের সেক্রেটারি সুমন আহমেদকে আশ্বাস দেন, “ভিসা না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত পাবেন। এই কথার ওপর আস্থা রেখেই সুমন আহমেদ এই কাজের দায়িত্ব নেন, যা তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
এস এম জাহাঙ্গীর কবির বাবু নিজের হাতে লিখিত স্বীকারোক্তি পত্রে উল্লেখ করেন, ভিসা না হলে পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি একাধিক ভুক্তভোগীর কাছে জাল ভিসা সরবরাহ করে প্রতারণা করেছেন। অর্থ ফেরতের অনুরোধ জানালে উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দেন।
প্রতারিত পরিবারগুলোর অনেকেই বিদেশে সন্তান পাঠিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জমি, গরু, সোনার গয়না এমনকি ঘরবাড়িও বিক্রি করেছেন।
‘সামাজিক ব্যক্তিত্ব’ ও ‘ক্লাব সভাপতি’ পরিচয়ের আড়ালে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এস এম জাহাঙ্গীর কবির বাবু। জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় একই কৌশলে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে তাঁর নামে একাধিক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর একটাই দাবি—এস এম জাহাঙ্গীর কবির বাবুর যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, যাতে কেউ আর এভাবে সহজ-সরল মানুষের স্বপ্ন, সম্মান ও সম্পদ নিয়ে খেলতে না পারে।
৪৪ পরিবার এবং সেক্রেটারি সুমন আহমেদ আজ চাইছেন: সুবিচার, সম্মান ফিরে পাওয়া এবং কষ্টার্জিত অর্থের পূর্ণ ক্ষতিপূরণ।