বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন, সংগ্রাম ও ব্যক্তিজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলোর একটি হয়ে রয়ে গেছে তার দীর্ঘদিনের সহচর ফাতেমার নাম। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও বেগম জিয়ার প্রতি তার ভালোবাসা, সেবা এবং অবিচল নিষ্ঠা আজ রাজনৈতিক ও মানবিক ইতিহাসের অংশ হয়ে উঠেছে।
কারাগারের কঠিন দিনগুলোতে যে মানুষটি ছায়ার মতো বেগম জিয়ার সঙ্গে ছিলেন, তিনি হলেন ফাতেমা। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন—
“আমি ম্যাডামের সঙ্গে জেলে যেতে চাই। আমি ছাড়া ওনার সেবা করার মতো কেউ নেই।”
তার এই বক্তব্য তখন দেশজুড়ে আলোচিত হয়। পরবর্তীতে বেগম জিয়ার সঙ্গে তিনি কাটিয়েছেন ৭৭৮ দিন কারাবাস। রক্তের সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও তার এই ত্যাগ, মমতা ও মানবিকতা রক্তের সম্পর্ককেও হার মানিয়েছে—এমনটাই বলছেন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠজনেরা।
কারাগারে প্রবেশের পর ফাতেমার পরিবারের ওপর নানা চাপ, অপপ্রচার ও হয়রানি চলে; তবুও তিনি এক মুহূর্তের জন্যও বেগম জিয়ার পাশে থাকার সিদ্ধান্তে বিচলিত হননি। সবকিছু সহ্য করে, দৃঢ় মনোবলে তিনি পালন করেছেন তার দায়িত্ব। এই দৃঢ়তা ও ভালোবাসাই তাকে আজ বেগম জিয়ার জীবনের এক অনন্য সহযোদ্ধার আসনে নিয়েছে।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, বেগম জিয়া ফাতেমাকে নিজের মেয়ের মতো স্নেহ করেন। আজও এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ম্যাডামের সর্বাত্মক সেবা-যত্ন করছেন ফাতেমাই। ওনার উপস্থিতি বেগম জিয়ার জন্য মানসিক শক্তি বলেও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।
রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকেই বলছেন—
ভালোবাসা, আত্মত্যাগ ও মানবিকতার যে উদাহরণ ফাতেমা রেখে গেছেন, তা ভবিষ্যৎ ইতিহাসে বিশেষ স্থান পাবে।
বেগম জিয়ার সঙ্গে কাটানো ৭৭৮ দিনের কারাবাস শুধু রাজনৈতিক ইতিহাস নয়, মানবিকতারও এক উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে।