1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লাগডিয়া বলরুমে নিউইয়র্ক নিউ হরাইজন লায়ন্স ক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির জাঁকজমকপূর্ণ ও বর্ণাঢ্য অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন দাউদকান্দির চন্দ্রশেখরদীতে ভূমিদস্যূর কবলে শাহজালাল : পৈত্রিক ভিটে রক্ষায় যুদ্ধ করছেন বৃদ্ধ কৃষক খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ—শর্মিলা রহমান ও ড. জোবাইদা রহমান—এখন তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন দাউদকান্দিতে মেঘনা–গোমতী সেতুর নিচে বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার, নিরাপত্তা জোরদার ১৬ ডিসেম্বর: বিজয়ের ৫৪ বছরে নতুন রেকর্ডের দিন ভূরুঙ্গামারীতে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। দাউদকান্দি হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপন: উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা রোকেয়া পদক পেলেন চার বিশিষ্ট নারী তেঁতুলিয়ায় জেঁকে বসেছে শীত, টানা নিম্ন তাপমাত্রায় জনদুর্ভোগ চরমে

বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৩৭ বার দেখা হয়েছে

মঈন মাহমুদ:বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১/৩রা ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। সকাল ১০:০০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি এবং বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিকাল ৩টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। বাঙলা গবেষণালয় সংক্রান্ত বিচিত্র দুর্ভাবনা শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং একাডেমির সদ্যপ্রয়াত সাবেক মহাপরিচালক ও সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করা হয়।

অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ ও আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। নানা সময়ে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় চাপে একাডেমি হয়তো স্বাধীনভাবে তার কাজ পরিচালনা করতে বিরুদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছে তবে সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সবারই প্রত্যাশা- বাংলা একাডেমি স্বাধীনভাবে তার উপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর।
অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, বাংলা একাডেমি একসময়ে বাংলাভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় সম্পৃক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছিল। সম্প্রতি দেশে একটি যুগান্তকারী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। যাকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামে অভিহিত করা হয়েছে। এই সূত্রে সংবিধানে সংস্কার, রাষ্ট্র সংস্কার, আরো বহুবিধ সংস্কারের ধারণা প্রতিনিয়ত আলোচিত হচ্ছে এবং এই সমস্ত সংস্কারের সঙ্গে ভাষার যেমন ওতপ্রোত-সম্বন্ধ তেমনি ভাষার সূত্রে সমস্ত সংস্কারের সঙ্গেই বাংলা একাডেমিরও নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির প্রধান দায়িত্ব কীÑএটা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা না থাকার কারণে অনেক ব্যক্তি সুধীজন কিংবা বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মনে করে রাষ্ট্রের বাংলা সম্পর্কিত সব কাজের হর্তা-কর্তা-বিধাতা হলো একাডেমি। এ রকম ধারণার ফলে যত ধরনের ভুলত্রæটি ভাষা ব্যবহারে হোক না কেন, সেগুলো এসে পড়ে একাডেমির উপর।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া বাংলা একাডেমির অধিকার কারণ এই প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের কাছে বইমেলা এবং অভিধানÑ এই দুই বিষয়ের দ্বারা একাডেমি ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও গত প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একদেশদর্শী না হয়ে জাতীয় চিন্তার ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া সেতুগুলো মেরামত করা; যেন দেশের সব মানুষ তার অধিকারের ভাষা খুঁজে পায়। এই ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির ভূমিকা অনেক। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি আর্থিক ক্ষেত্রে নানাভাবে সরকারি সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়তো তবে সরকার কোনো অলীক ধারণা নয়। বাংলাদেশের জনগণের কষ্টার্জিত অর্থেই আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলা একাডেমিকে মনোনীত করেছি।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এক সময় পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে একাডেমিকে এক ধরনের অস্তিত্বগত লড়াই করতে হয়েছে। আবার স্বাধীন বাংলাদেশে দুর্বল আর্থিক কাঠামোসহ নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবে এটা সত্য যে গত প্রায় সত্তর বছর ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রশ্নে নিরাপোষ থেকে তার সাধ্যমতো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক সায়েরা হাবীব।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com