1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় মাহাদিয়াকে অভিনন্দন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধ: দাউদকান্দির সাবেক চেয়ারম্যান সুমনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ মুন্সীগঞ্জে অটো রিক্সার ধাক্কায় প্রাণ গেছে শিশুর *বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে পর্দা নামলো প্যাডেল স্ল্যাম ২.০’র* হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজন গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আজ প্রকাশ হচ্ছে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বপ্নের মুহূর্তে নতুন করে হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা—মির্জা ফখরুল খুলনার ‎ফুলতলায় গাঁজা ও ইয়াবাসহ আটক ১ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

ফোনে মিতুর শেষ আর্তনাদ ‘আব্বা আমারে বাঁচান…’

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১
  • ৩৩৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : একটি কল। একটি জীবনের শেষ আর্তনাদ। বেঁচে থাকার আকুতি। ‘আব্বা আমারে বাঁচাও, আর এক মিনিট এইহানে থাকলে আমি মইরা যামু, লগের তারা অনেকেই মইরা গেছে। কয়েকজন বাইচ্চা আছি আমরা। আমাগো উদ্ধার করো, আব্বা আমাগো বাইর করো’। ১৯ বছর বয়সী কন্যা মিতুর আর্তনাদ শুনে কলিজাটা ছিঁড়ে যাচ্ছিলো পিতা বেলাল হোসেনের। মেয়ে আর্তনাদ করছে বাবার কাছে।

এই আর্তনাদ বাঁচার জন্য। কী করার আছে তার, তিনি জানেননা। তবু চিৎকার করে বলেছেন, ‘মাগো ও মা আমি আইতাছি, আল্লাহ আল্লাহ কর মা। তোর কিচ্ছু হবে না। আগুন তোরে কিচ্ছু করবে না মা।’ কিন্তু আগুন কী তা বোঝে। ফোনের ওপর প্রান্তে তখন নিস্তেজ গোঙ্গানির শব্দ পান বেলাল। ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বেলালের শরীরেও যেনো আগুন লেগেছে। দৌড়ে ভবনে ঢুকতে চান তিনি। কোনো বাধা মানতে চান না। কিন্ত পুলিশ আর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বাধায় তা হয়ে উঠেনি। ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। বেলাল কল দেন বারবার। না, কেউ রিসিভ করে না। ফোন ধরে কেউ আব্বা বলে ডাকে না তাকে।
১৫ মিনিট পর মেয়ে মিতুর মোবাইলফোনটি বন্ধ পান তিনি। বৃহস্পতিবার, রাত তখন আটটা। ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপের সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডের কারখানায়। ওই কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় কাজ করতেন মিতু।

পাশের পোশাক কারখানার শ্রমিক বেলালের দুই সন্তান। বড় মেয়ে খাদিজাও কাজ করেন ওই কারখানায়। রাতের শিফটে ডিউটি থাকায় খাদিজা তখন ছিলেন বাসায়। মিতু ছিলেন ডিউটিতে। স্বল্প আয়ের সংসার বেলালের। তিন বছর আগে ওই কারখানার কাজে যোগ দিয়েছিলেন তার দুই মেয়ে। ঈদের পরেই দুই মেয়েকে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়ার ইচ্ছে ছিল পিতা বেলালের। নিজেদের বিয়েতে দরিদ্র পিতার যেনো আর্থিক কষ্ট পোহাতে না হয়, ঋণগ্রস্ত হতে না হয় সেজন্য ওভার টাইমও টিউটি করতেন মিতু ও খাদিজা। গতকাল ৫২ জনের লাশ পাওয়া গেলেও আগুনে পুড়ে যাওয়ায় চেনা সম্ভব হয়নি মিতুকে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গড়াগড়ি দিতে দিতে ‘মা ও মারে..’ বলে বুকফাটা চিৎকার করছিলেন বেলাল। বেলালের বাড়ি

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নসিপুর গ্রামে। দীর্ঘদিন যাবত পরিবার নিয়ে রূপগঞ্জে থাকেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com