বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, গভীর সংকট থেকে প্রজাতন্ত্রের উত্তরণ এবং রাষ্ট্র সুরক্ষার প্রয়োজনে আরেকবার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার গত ১৫ বছরে অগণতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক এবং প্রচণ্ড ফ্যাসিবাদী রূপ ধারণ করে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে আইনগত ও নৈতিকভাবে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আ স ম রব বলেন, রাষ্ট্রকে বিপজ্জনক ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন সরকার। ধারাবাহিক সংকটে বিপর্যস্ত ব্যবস্থা, দেশ পরিচালনায় লুটেরা মনোবৃত্তি, পরাশক্তির ওপর নির্ভরশীলতা, জবাবদিহিবিহীন সংস্কৃতি- সমগ্র জাতিকে বহুমাত্রিক শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের ফসল আজ ভূ-লুণ্ঠিত। এ ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকে পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সুশাসন কায়েমসহ জনগণের অংশগ্রহণভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন উপযোগী রাষ্ট্র নির্মাণে ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ একমাত্র বিকল্প।
জেএসডি সভাপতি বলেন, এই যুদ্ধকে সামনে রেখে গণজাগরণ, গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির রণনীতি- রণকৌশল নির্ধারণ করতে হবে। নৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ও মনীষাগতভাবে দেউলিয়া জাতির জন্য ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’ই হবে নতুন মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস।
সভায় অন্যদের মধ্যে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারী বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের জন্য আর নিরাপদ নয়। প্রজাতন্ত্রের এই গভীর সংকটে বিদ্যমান অপরাজনৈতিক শাসন ব্যবস্থার অবসানে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
স্বাধীনতার চেতনাভিত্তিক ‘অংশীদারিত্বের শাসনব্যবস্থা’ প্রবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ, শাসন প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমাজ শক্তির অংশগ্রহণের উপযোগী রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তনে আমরা ‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের’ ডাক দিয়েছি।
এতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- জেএসডির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, এস এম আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, আমিন উদ্দিন বিএসসি, আবদুল লতিফ খান, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল, মতিউর রহমান মতি, লোকমান হাকিম, মুজতবা কামাল, মোশারেফ হোসেন মন্টু, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, এস এম শামসুল আলম নিক্সনসহ সারাদেশ থেকে আগত দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।