ঠাকুরগাঁও, জেলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই)-এর মহাপরিচালক ড. কবির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জুলাই যোদ্ধাদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা তৈরি করে নারিকেলসহ সুগারক্রপের নতুন উদ্ভাবিত সম্ভাবনাময় খাতে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। তিনি বলেন, আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত চিনিজাত পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে বিএসআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রযুক্তির প্রতি তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক কেন্দ্র আয়োজিত “তরুণ উদ্যোক্তা তৈরীর নিমিত্তে মধু উৎপাদনের কলাকৌশল ও আখের স্বাস্থ্যসম্মত দানাদার গুড় উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল” শীর্ষক প্রশিক্ষণে ড. কবির উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, একসময় বিএসআরআইয়ের গবেষণা কার্যক্রম মূলত আখ থেকে চিনি উৎপাদনকেন্দ্রিক থাকলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক অগ্রসর ধারণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তা বহুমুখী করা হয়েছে। এখন আখের পাশাপাশি তাল, খেজুর, গোলপাতা, স্টেভিয়া, বাদাম, নারিকেল এমনকি আঙ্গুর নিয়েও গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, সাদা চিনির ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে স্টেভিয়া থেকে স্বাস্থ্যকর চিনি উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খেজুর, তাল ও নারিকেল থেকে রস আহরণ করে উন্নতমানের গুড় উৎপাদন সম্ভব, যার আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষে জুলাই যোদ্ধাদের মধ্য থেকে ৩০০ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যেই এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. কবির উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই কর্মসূচিটি সারা দেশে বিএসআরআইয়ের দশম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এর মাধ্যমে ৩০০ নতুন উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএসআরআই ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক কেন্দ্রের প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ ড. মো. সোহরাব হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্থার পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. আতাউর রহমান এবং পরিচালক (টিওটি) ড. সেলিনা আখতারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।