1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি হলের নাম চূড়ান্তভাবে পরিবর্তন ✦ এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে পৌঁছেছেন ডা. জুবাইদা রহমান ✦ জুমার নামাজের পর খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আরও ৩৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার দেশের সব মসজিদে দোয়ার আহ্বান সরকারের সাংবাদিক মো. শরিফুল ইসলাম পেলেন ‘স্বাধীন সংবাদ সম্মাননা পদক–২০২৫’ দাউদকান্দি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রোমান খন্দকারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ঠাকুরগাঁওয়ে বিএমডিএর ঠাকুরগাঁও ও রংপুর সার্কেলের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রায় ১৫ জনের সফরসঙ্গী তালিকা প্রকাশ স্থায়ী বিশেষজ্ঞ প্যানেল-এর সেমিনার অনুষ্ঠিত

জোরকরে চেয়ারম্যানকে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর, সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ১৭৬ বার দেখা হয়েছে

মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ৮ নং বাসুদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে জোরকরে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য।

লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ৮নং বাসুবেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সাথে এলাকার জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। আমার নির্বাচনের সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে শফিকুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ মনোনীত) ও মাহফুজুর রহমান ডালিম (বিএনপি মনোনীত) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়। নির্বাচনে ৩য় স্থান অধিকারী মাহফুজুর রহমান ডালিম গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ পরবর্তী সময় গোদাগাড়ী-তানোর আসন (রাজশাহী-১) এর বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফ উদ্দিনের আর্শীবাদে ও মদদে বাসুদেবপুর
ইউনিয়নে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা এলাকাবাসী অবগত।

গত ১৮ জুন আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় আমার পরিষদ কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গড ফাদার ও যুব নেতা মাহফুজুর রহমান ডালিমের নির্দেশে তার আপন ভাই মোমিন, সোহরাব আলীর ছেলে মফিজুর হক, তুহিন আলী (অজ্ঞাত), জালাল উদ্দিন কাসারীর ছেলে আল-মামুন, কাশিমপুরের মৃত মোস্তফার ছেলে নবাব আলী, পাহাড়পুর নামাজগ্রামের নজরুল ইসলাম’র ছেলে মোঃ নাজমুল, অভয়ার আকবর আলীর ছেলে জহির, বেলাল উদ্দিন কবিরের ছেলে হুমায়ুন, কাশিমপুরের আতিকুর রহমান টোটন (পিতা অজ্ঞাত), স্লুইসগেটের শফিকুল ইসলামের ছেলে মোহন, বাসুদেবপুরের তাইসুর রহমান তাসুর ছেলে দুলাল, জাহাঙ্গীরের ছেলে সিফাত কবির আবির,কবির আজমের ছেলে আবিদ সহ একদল উচ্ছৃঙ্খল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় এল-জি-ইডির রাস্তা পাকাকরণ কাজের অনিয়মকে ইস্যু করে আমার কার্যালয়ে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ছকে আমাকে তাদের কাছে থাকা টাইপকৃত পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে। আমি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে বলে স্বাক্ষর করবি না হয় জীবন হারাবি। আমি আমার অপরাধ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মারমুখী আচরণ করে এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের লেখা পদত্যাগ পত্রে আমাকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। যা আমি প্রাণনাশের ভয়ে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হই। এ সময় ৪০-৫০ জন লোক লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার স্বাক্ষর নেওয়ার পর ঘোষণা করে আজ থেকে এই পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম ভাই।

এ অবস্থায় স্থানীয় জনসাধারণ বিষয়টি গোদাগাড়ী থানা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ দ্রুত আমার কার্য্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বে-আইনি জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করে এবং আমাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে। কিন্তু
সেনাবাহিনী ও পুলিশ আসার আগেই জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করে নেয় এবং আমাকে আমার কার্য্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন আমাকে তালাবদ্ধ কার্যালয় থেকে উদ্ধার করে আমার বাড়ীতে পৌঁছে দেয়।

আমি আপনাদের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনসহ আমার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরের কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, বিষয়টি তদন্ত করে মব সৃষ্টিকারী অপরাধীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেওয়া পদত্যাগ পত্রটি উদ্ধার করা হোক এবং তাদের দ্রুত বিচারের আতওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার সাহস না পায়।

সংবাদ সম্মেলনে বাসুদবপুর ইউপির ১নং সদস্য আলফাজ উদ্দিন, ২ নং সদস্য গোলাম আরিফ, ৩ নং সদস্য কামরুজ্জামান, ৬ নং সদস্য ওহাব আলী, ৯ নং সদস্য লিটন, ১.২.৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য সাইদা খাতুন হীরা, ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন, ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য সুখ জাহান বেগম সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান ডালিম বলেন, এলাকার শত শত লোক ঐ ঘটনায় উপস্থিত ছিলেন, যা আমি পরবর্তীতে জেনেছি৷ তবে ঘটনার সাথে আমি কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নই বা আমার কোন যোগসাজস নাই। আমার পরিবারের কোন সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, গতকাল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে যারা চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করেছিল তারা ইউএনও মহোদয়ের অফিসে যান। সেখানে তারা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে ইউএনও’কে অবগত করেছেন এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ইউএনও স্যার ভাল বলতে পারবেন৷

এ বিষয়ে গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদ’কে মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com