জালালুর রহমান, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিকের (সি এইচ সিপি) কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের দায়িত্বে অবহেলার খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে, অত্রাঞ্চলের দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ ও বিভিন্ন পেশার রোগী সাধারণ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওইসব ক্লিনিক ও সি এইচ সিপির নাম হলো জায়ফর নগর ইউপির শাহাপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্ব প্রাপ্ত সি এইচ সিপি লাভলী রাণী দাশ। একই ইউপির বাহাদুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজিয়া বেগম। পশ্চিম জুড়ী ইউপির কৃষ্ণ নগর কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্ব প্রাপ্ত ফুলমতি রাণী বিশ্বাস। গোয়ালবাড়ী ইউপির সোহাগীর পাড় কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্ব প্রাপ্ত কল্পনা দাশ। একই ইউপির জালালপুর কমিউনিটি ক্লিনিক। দায়িত্ব প্রাপ্ত অনুকূল চন্দ্র মল্লিক। জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১টি করে মোট ১৭টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। ওই সব ক্লিনিকে প্রতোকটিতে ১জন করে সি এইচ সিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন সকাল ৯টায় এবং প্রস্থান বিকেল ৩টার সময় বেধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব ক্লিনিকে চাকুরীরত সি এইচ সিপিদের অনেকেই কতৃপক্ষের নির্দেশ কে উপেক্ষা করে নিজেদের খেয়াল ও খুশিমতো ক্লিনিকে আসা যাওয়া করেন। সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সোহাগীরপাড় কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যতিত বাকি ৪টি ক্লিনিক যথাক্রমে শাহাপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের লাভলী রাণী দাশ সকাল ৯টা ৪৭মিনিটে আগমন করেন। বাহাদুরপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে রেজিয়া বেগম সকাল ৯টা ৫১মিনিটে আগমন করেন। কৃষ্ণ নগর কমিউনিটি ক্লিনিকের ফুলমতি রাণী বিশ্বাস সকাল ১০টা ৫মিনিটে আগমন করেন। জালালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের অনুকূল চন্দ্র মল্লিক বিকেল ২টায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। ক্লিনিকটি ওই সময় তালাবদ্ধ ছিলো। ওইসব এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন জনদের সাথে কথা হলে, ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমরার চিকিৎসার লাইগা ক্লিনিক হাস পাতাল বানাইয়া দিছে। ডাক্তারও দিছে। কিন্তু ডাক্তাররা সময়মতো (আয়না) আসে না। এই কারণে (অসুধ) ঔষধ পাই না। আমরা ওই ডাক্তারদের বিচার চাই। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন যুবলীগ সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম জানান জালালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সি এইচ সিপি অনুকূল চন্দ্র মল্লিক তার ইচ্ছামতো আসে যায় সকাল ১০, ১১টায় ক্লিনিকে। রোগীরা এসে ক্লিনিক বন্ধ পায়। আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ক্লিনিকটি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সমরজিৎ সিংহ ক্লিনিকের বিষয়টি অবগত করানোর কারণে সাংবাদিকদের জানান, আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান। মৌলভীবাজার জেলার সিভিল সার্জন চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোরশের্দ বলেন, খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।