নিজস্ব প্রতিবেদক।। নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বচ্ছতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় পাঁচ দলের নাম প্রকাশিত হওয়ায় তৈরি হয়েছে জল্পনা-কল্পনা ও শঙ্কা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় কমিশনের বৈঠক। আলোচনার বিষয় ছিল রাজনৈতিক দল নিবন্ধন প্রক্রিয়া। তবে বৈঠক শেষে ইসির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য জানানো হয়নি। অথচ দৈনিক ডেসটিনি, দৈনিক খবরের কাগজ ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে “এনসিপি সহ ৫ দল পাচ্ছে নিবন্ধন” শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়।
এমন সংবাদ প্রকাশে হতবাক হয়েছেন নিবন্ধনপ্রত্যাশী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, কমিশনের ভেতরের তথ্য আগেভাগেই বাইরে চলে যাওয়া স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দলের নেতা বলেন, “আমাদের বাদ দিয়ে যদি অন্যদের নিবন্ধনের তথ্য আগে থেকেই প্রকাশ পায়, তবে কমিশনের ভেতরে গোপন যোগাযোগ ছাড়া তা সম্ভব নয়। এতে প্রক্রিয়াটি হাইজ্যাক হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
তথ্যমতে, এবার ইসিতে ১৪৩টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন জমা দিয়েছিল। প্রাথমিক যাচাইয়ে ১২১টি দলের আবেদন বাতিল হয়। মাঠপর্যায়ের যাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় আসে ২২টি দল। এর মধ্য থেকে কাদের নিবন্ধন দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি কমিশন।
ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চলতি মাসের মধ্যেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা রয়েছে। তবে প্রতীক বরাদ্দসংক্রান্ত বিধিমালা এখনো আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়।
এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে বিদেশ সফরে আছেন। রাজনৈতিক মহল ও বিশ্লেষকরা আশা করছেন, দেশে ফিরে তিনি তথ্য ফাঁসের ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।