বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। প্রতিবছর সারাবিশ্বে ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়।
এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্রের ভালো দিকগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরা এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে মানুষকে আরো সচেতন করা। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই গণতন্ত্রের অস্তিত্ব আছে।
এদের মধ্যে সাধারণ সাদৃশ্য থাকলেও গণতন্ত্রের চেহারা একেক জায়গায় একেক রকম। তাই সব গণতান্ত্রিক দেশকে একসূত্রে বাঁধার জন্য এই দিনটি পালিত হয়ে থাকে।
২০০৭ সালে ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলি ১৫ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
১৯৯৭ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করে যার নাম দেওয়া হয় ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অন ডেমোক্রেসি। এখানে গণতন্ত্র সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য এবং নির্দেশিকা দেওয়া হয়। ফিলিপিন্সে ফার্দিনান্দ মারকোসের দ্বারা চালিত একনায়কতন্ত্রের পতন হলে নতুন সরকার দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন নিউ অ্যান্ড রেষ্টর্ড ডেমোক্রেসি নামে একটি প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের সঙ্গে নানা দেশের সরকার যুক্ত হতে থাকে।
২০০৬ সালে এর ষষ্ঠতম সমাবেশ হয় কাতারের দোহায়। এই সমাবেশে বেশকিছু গণতান্ত্রিক প্রকল্প এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, যার দ্বারা গণতন্ত্রের আরো প্রসারের উদ্দেশ্যে। এই প্রকল্পেই পরিকল্পনা করা হয় বছরের একটি দিনকে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এরপরই রাষ্ট্রপুঞ্জ জেনারেল অ্যাসেম্বলির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রথমে ১ সেপ্টেম্বর ও পরে ৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর ২০০৮ সাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর এই দিনটি পালন করা শুরু হয়।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে নানা রকম কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা হয়, যেমন গণতন্ত্রের গুরুত্ব এবং উপকারিতা সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করা, গণতন্ত্রের মূল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো প্রচার করা ইত্যাদি।
২০১৩ সালে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন ১৬২ টি দেশের মধ্যে এই আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। প্রতি বছরই কোনো না কোনো নতুন বিষয়কে প্রতিপাদ্য বেছে নেয়া হয়। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিপাদ্য হলো, ‘গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ’।