আজ ২৬ শে ডিসেম্বর শুক্রবার, সকলের মন জয় করতে, রাশিয়ান ডায়মন্ড সার্কাস সিথির মোড়ে হাজির, ,২৪ শে ডিসেম্বর বুধবার, ঠিক সকাল ১১ টায়, রাশিয়ান ডায়মন্ড সার্কাস এর তাঁবুতে, ম্যানেজার মোহাম্মদ শামসেদ এর উদ্যোগে, প্রখ্যাত গায়ক মহম্মদ রফির ১০১ তম জন্মদিবস পালন করলেন একটি কেক কাটার মধ্য দিয়ে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক ঝাক সার্কাস কর্মী সহ অন্যান্যরা। এই আয়োজনকে ঘিরে কেনিয়ার, রাশিয়া মঙ্গোলিয়ার শিল্পীদের উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
সিঁথির মোড়ে এই সার্কাস শুরু হয় ১৪ ই ডিসেম্বর থেকে, আর শীতের মরশুমে সার্কাস মানে কলকাতার বিভিন্ন ময়দান। বিভিন্ন পশু পাখি ও জোকার নিয়ে হাজির হয়ে যান ময়দান গুলিতে, দর্শকদের আনন্দ মনোরম দিতে। আর এই শীতের মরশুমেই বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বরানগর সিথি ময়দানে জমে উঠেছে রাশিয়ান ডায়মন্ড সার্কাস, একে শীতের আমেজ, অন্যদিকে ছোট বড় মিলিয়ে সব বয়সীদের মনোরঞ্জনের জন্য সার্কাসের বেশ কয়েকটি জুড়ি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডায়মন্ড সার্কাস সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে এগিয়ে চলেছে। সুন্দর সুন্দর খেলা তারা উপহার দিচ্ছেন দর্শকদের, আর এই খেলা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দূর দূরান্ত থেকে সিথির ময়দানে,
আর এই ডায়মন্ড সার্কাসে প্রতিদিন চলছে তিনটি করে শো, দুপুর ১টা, বিকেল ৪টা, এবং সন্ধ্যা ৭টা, টিকিটের মূল্য ধার্য করেছেন, ১০০ টাকা ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকা।
সার্কাসের ম্যানেজার মোহাম্মদ শামসেদ বলেন, সরকার থেকে পশু পাখি নিষে বিধি নিষেধ থাকায়, আমরা সমস্ত ইভেন্ট চালু করেছি, তাহার মধ্যে রয়েছে – আলোকসজ্জা, সাউন্ড সিস্টেম, এবং আবহও মিলিয়ে একেবারে সার্কাসে অন্যরকম আকর্ষণের সৃষ্টি করেছি। কিছুটা আক্ষেপেও করেছেন সরকারি সয়াহতা নিয়ে , তিনি বলেন ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশের জনপ্রিয় সার্কাসের আয়োজনে সরকারি সুবিধে পাওয়া যায়, তাই সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন যদি সরকারি আজও আমাদের জন্য ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো বলেন, জীবনের সঙ্গে বাজি রেখে আমাদের ছেলে মেয়েরা মানুষকে মনোরঞ্জন করে, আনন্দ দেয়, কিন্তু এর পিছনেও ছেলে মেয়েদের করুন কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে, শিল্পীদের জীবন জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত সার্কাস কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য , সকলের সহযোগিতা আশা করেছেন সার্কাসের কলাকুশলীরা ।
দেশ বিদেশে খেলা দেখিয়ে বেড়ানো সার্কাসের ম্যানেজার মোহাম্মদ শামসেদ আরও বলেন, এবারের সার্কাস ভারত ছাড়াও কেনিয়া ,মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, বেলারুশ সহ অন্যান্য দেশের পারফর্মরা খেলা দেখাচ্ছে। আর এই সার্কাসের মূখ্য আকর্ষণ জোকার সহ অন্যান্যরা। আর সার্কাস মানেই নিজের জীবনকে বাজিয়ে রেখে টেকনিক্যাল দক্ষতায় দর্শককে আনন্দ প্রদান করা।। কিছুটা নিরাপত্তার দিকগুলি প্রাধান্য দেয়া হয়।
তবে আজকের এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার, শিল্পীরাও খুশি ও আনন্দিত। এমন একটি শিল্পী জন্মদিন পালন করতে পেরে, এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে সার্কাসের আগ্রহ দেখে সকল কলাকুশলীরাও আনন্দিত ও উৎসাহিত।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ