নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর আল-বদর, আল-শামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, প্রকৌশলী ও সংস্কৃতিজনদের নির্মমভাবে হত্যা করে। স্বাধীনতার ঠিক প্রাক্কালে জাতিকে মেধাশূন্য করতেই এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।
দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে গভীর শ্রদ্ধা ও শোকের মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হচ্ছে। রাজধানীর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণীতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তারা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান ও ত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। তাদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলাই হবে তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।
দিনটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, স্মরণসভা এবং বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলোতে প্রচার করা হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকার মিরপুর, রায়েরবাজারসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অপহৃত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর তাদের মরদেহ বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়, যা ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—জাতির মেধা ও বিবেক ধ্বংসের চক্রান্ত কখনো সফল হতে পারে না। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে—এই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।