বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ পরিচানলার দায়িত্ব নেন ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সে বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিদেশ সফর সীমিত করতে উপদেষ্টা-সচিবদের ১৩ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এরপর আরও দুবার একই নির্দেশনা জারি করা হয়। তবুও বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করছেন না উপদেষ্টা ও সচিবরা। বিষয়টিতে সরকার প্রধান ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিদেশ সফরে নিয়ম মানাকে কেন্দ্র করে তৃতীবারের মতো নির্দেশনা জারি করে পরিপত্র পাঠানো হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সব সিনিয়র সচিব, সচিব ও দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের কাছে।
পরিপত্রের আগে জারি করা নিয়ম-কানুন স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপদেষ্টা-সচিবদের সতর্ক করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একইসঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা একসঙ্গে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। এ ধরণের প্রস্তাব প্রায়ই এ কার্যালয়ে (প্রধান উপদেষ্টা বরাবর) প্রেরণ করা হচ্ছে, যা পূর্বে জারি করা নির্দেশনার পরিপন্থি।
সেখানে আরও বলা হয়, বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত জারিকৃত সব নির্দেশনা মানতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করতে হবে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেন। সে বছরের ২৪ ডিসেম্বর বিদেশ সফর সীমিত করতে ১৩ দফা নির্দেশনা দেয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এতে বলা হয়েছিল, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ সফরে যাবেন না। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীন অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানরা একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
এ নির্দেশনা দেওয়ার পরও সেটা আমলে নিচ্ছিল না কেউ কেউ। তাই এ বছরের ২৫ মার্চ সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ সফরের বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এখন তৃতীয় দফায় গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আবারও নতুন পরিপত্র জারি করল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া বলেন, যারা নিয়ম মানছে না, আমার ধারণা তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যব্স্থা নেয়নি। ব্যবস্থা নিলে এমনটি হতো না। এ নির্দেশনা না মানার কারণে দু-একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সরকার কড়া শাস্তি দিক, তখন দেখবেন পরবর্তী সময়ে কেউ আর নিয়ম লঙ্ঘন করবে না।