বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ব্যাংকিং সমস্যা নিয়ে সদস্যদের এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে ৭০টিরও বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।
সভায় বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, এবং বিজিএমইএ এর এক্সিট পলিসি সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম এবং ওয়ান স্টপ সেল সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সভার মূল আলোচনা বিষয়গুলো ছিলোঃ-
খেলাপি ঋণ নীতিমালা: সদস্যরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সার্কুলার এর অধীনে খেলাপি ঋণ নীতিমালার মেয়াদ ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছরে উন্নীত করার প্রস্তাব করেন। তারা জানান যে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সংক্ষিপ্ত সময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব নয়। এছাড়া, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
ফোর্সড লোন ও মামলা: সভায় সদস্যরা জানান, নিয়ম বহির্ভূত কারণে ফোর্সড লোনের শিকার হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান চেক ডিসঅনার এবং অর্থঋণ মামলার মতো জটিলতার শিকার হচ্ছে, যা তাদের কার্যক্রমকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে। তারা এ পরিস্থিতি নিরসনে বিজিএমইএ বোর্ডকে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহনের আহবান জানান।
সহনশীল এক্সিট পলিসি: সদস্যরা একটি সহনশীল এক্সিট নীতিমালা প্রনয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, এটি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ দেবে।
নীতি সহায়তা: সদস্যরা মতামত দেন যে দেশের অর্থনৈতিক সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতি সহায়তা দিচ্ছে, তা যেন শুধুমাত্র বড় রপ্তানিকারকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। বরং, ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোও যেন এই সুবিধা পায়, সে ব্যাপারে জোরালোভাবে আহবান জানানো হয়।
রুগ্ন কারখানা: পোশাক খাতে দীর্ঘদিন ধরে রুগ্ন হয়ে থাকা ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের সমস্যা সমাধানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়ারও আহবান জানানো হয়।
সভায় বলা হয় যে, প্রায় ৪০০টি পোশাক কারখানা ব্যাংকিং সমস্যার কারণে বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। নীতি সহায়তা পেলে এই কারখানাগুলো পুনরায় চালু হয়ে অতিরিক্ত এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন যে, সভায় উত্থাপিত সকল বিষয় নিয়ে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদ দ্রুত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবে। এ লক্ষে তিনি ব্যাংকিং সমস্যাক্রান্ত কারখানাগুলোকে তাদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে বিজিএমইএ’কে দ্রুত অবহিত করার জন্য আহবান জানান।