সংবাদ প্রতিবেদক: কাজল : গাজীপুর, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (শুক্রবার): গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং বিচার সংস্কারের দাবিতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি–কাশিমপুর এলাকায় এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল চারটায় বাগানবাড়ি চাররাস্তার মোড়ে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শাহাবুদ্দিন। সভার সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের সৎ, নির্ভীক ও নিবেদিতপ্রাণ জননেতা আব্দুল মান্নান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনতার পাশে থেকে ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। সভার সঞ্চালনা করেন মাহবুব আলম ও মজনু মিয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মহিন—যিনি তার সাহসী নেতৃত্ব, ন্যায়ভিত্তিক চিন্তাধারা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
আলোচনার মূল বক্তব্য
সভায় বক্তব্য রাখেন মাহবুব আলম (কাশিমপুর), মশিউর (কোনাবাড়ি থানা), শফিউল আলম (বাসন থানা), আল-আমিন সরকার (বাসন থানা), মিজানুর রহমান (কাশিমপুর থানা), হাফিজ (কাশিমপুর থানা)সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণ ছাড়া কোনো রাষ্ট্র টেকসই হতে পারে না। নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং বিচার সংস্কার আজ সময়ের অনিবার্য দাবি। তারা গভীর আবেগের সঙ্গে স্মরণ করেন-বিগত আন্দোলন ও প্রতিবাদে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা শহিদ হয়েছেন, অথচ এ হত্যাযজ্ঞের বিচার আজও হয়নি। বক্তারা ঘোষণা দেন, শহিদদের রক্তের ন্যায্য বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জনতার অঙ্গীকার
সভায় উপস্থিত জনতা প্রধান অতিথি আব্দুল্লাহ আল মহিনের নেতৃত্বে পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন প্রকাশ করেন। তারা আন্দোলনকে আরও বেগবান করার শপথ নেন এবং দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন-গণপরিষদ নির্বাচন, নতুন সংবিধান ও বিচার সংস্কারের মাধ্যমে একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে হবে।
আন্দোলনের উদ্দেশ্য
বক্তারা স্পষ্ট ভাষায় জানান, এ আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক বিচার নিশ্চিতকরণ এবং শহিদদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ করা। তারা বলেন, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এখন জাতীয় দায়িত্ব।
আব্দুল মান্নান ও আব্দুল্লাহ আল মহিনের নেতৃত্ব
সভায় বক্তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সভাপতি আব্দুল মান্নান তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। তিনি শুধু একজন সংগঠক নন, বরং সমাজের পথপ্রদর্শক। অন্যদিকে, আব্দুল্লাহ আল মহিন তার সাহসী নেতৃত্ব ও সুদূরপ্রসারী চিন্তার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছেন। তাঁর নেতৃত্বকে জনগণ মুক্তি সংগ্রামের পথপ্রদর্শক হিসেবে দেখছেন।
ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা
সভা শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ আন্দোলন একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। জনতা আব্দুল্লাহ আল মহিনের দীর্ঘায়ু ও সফল নেতৃত্ব কামনা করেন এবং আগামীর নির্বাচনে পরিবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এন্ড সিপি’র মূল উদ্দেশ্য
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, এনসিপি -এর মূল লক্ষ্য হলো একটি নতুন সংবিধান ও বিচার সংস্কারের মাধ্যমে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে জনগণের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং শহিদদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটি কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, বরং একটি নৈতিক অঙ্গীকার—ন্যায়, সমতা ও মানবিকতার ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্র কাঠামো নির্মাণের শপথ।