বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : আজকের এ সংবাদ সম্মেলনে আপনাদেরকে স্বাগত জানাই। স্যায়িত্ব নেয়ার পর আজকেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের জন্য একসাথে মিলিত হলাম, যদিও এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে আমরা আপনাদের সাধে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছি।
আজকে আমরা একত্র হয়েছি বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুপ্ত হ্রাসের বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সঙ্গে মতবিনময় করার জন্য, যদিও গত ২ দিনের পত্র-পত্রিকাগুলোতে এ ব্যাপারে অনেক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও আমরা উপলব্ধি করেছি, বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা জরুরি।
প্রথমেই আমি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে তারা একটি ভারসাম্যপূর্ণ শুল্প কাঠামো ঘোষণা করেছে, যেটি বিগত প্রায় ৪ মাস যাবৎ আমদের আমাদের উদ্বেগের কারণ ছিল। বাংলাদেশ যেকে অতিরিক্ত আমদানি শুল্প ৩৫% থেকে কমিয়ে ২০% পুননির্ধারণ করা হয়েছে, যা আমাদের প্রধান পোশাক রপ্তানিকারী প্রতিযোগীদের তুলনায় সমান বা কাছাকাছি, এবং কিছু প্রধান প্রতিযোগী যেমন চীন (৩০%) ৬ ভারতের (২৫%) তুলনায় কম।
আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে বলতে চাই আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিশেষ করে মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও তাদের টীম এই কঠিন অলোচনার সময় যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। তাঁর প্রচেষ্টাতেই বাংলাদেশ একটি সমূহ বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে।
তবে আপনারা জানেন এই ফলাফল একদিনে আসেনি, যাত্রাটি ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের।
২ এপ্রিল যখন যুক্তরাষ্ট্র লিবারেশন ডে ট্যারিফ নামে নতুন শুপ্ত যোষণা করল, তখন বাংলাদেশের উপর ৩৭৬ বার্য করা হয়। তখন ভারতের উপর ২৬৪, ইন্দোনেশিয়া ৩২% ও পাকিস্তানের উপর ৩০% শুল্ক আরোপ করা হলো। এটা আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভুত হয়। কারণ এতো বড় শুল্প ব্যাবধানে বাজার ধরে রাখা সম্ভব নয়। আমাদের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ২০% আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর দেশটিতে আমাদের মোট রপ্তানির ৮৭% হয় তৈরী পোশাক পণ্য।
যদিও ২ এপ্রিল এর তারিফ ঘোষণা অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে বাস্তাযয়ন করার কথা ছিল, সেট ৯০ দিনের জন্য পিছিয়ে দেয়া হয়, ফলে আমরা আলোচনার জন্য কিছুটা সময় পেলাম। তবে এপ্রিল এর ৫ তারিখ থেকে ১০% অতিরিক্ত বেস ট্যারিফ চালু করা হয়।
তবে এই ৯০ দিন সময়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সময় শেষ হওয়ার পর নেগোশিয়েশনে কি হচ্ছে বা ১ জুলাই এর পর কি ঘটতে চলেছে সেই বিষয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হচ্ছিলো। এরপর মুন এর মাঝামাঝি আমরা জানরে পারি সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সবে একটি খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, তবে NCA এর জন্য তা প্রকাশ করতে পারছে
যেহেতু গোপনীয়তা রক্ষা চুক্তির কারণে বেসরকারি যত এই আলোচনায় সরসরি সম্পৃক্ত ছিল না ভাই রপ্তানিকারক ও ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছিল ‘কী হতে যাচ্ছে?” আমরা সারাই উদ্বিম হয়ে পড়েছিলাম, যখন দেখলাম ২ জুলাই ভিয়েতনামের উপর শুল্ক ৪৬% থেকে কমিয়ে ২০% এ নামিয়ে আনা হলো। আর প্রায় তিন মাস নেগোশিয়েশন এর পর ৭ জুলাই আমাদের উপর শুরু মাত্র ২% কমিয়ে ৩৫% করা হলো, তবে পুনরায় আলোচনার জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। এরই মধ্যে পরবর্তী ২ সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও ১৯% যরে সমঝোতায় পৌঁছায়।
আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেই আলোচনায় সম্পৃক্ত হতে, অধরা সব রকম তথ্য-বিশ্লেষণ দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে। আমরা চেষ্টা করেছি যেন বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও আমরা BGMEA এর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকলোর সাথে যোগাযোগ করেছি। এমনকি আমায় ঢাকায় মার্কিন দুতাবাস ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি। এরপর ৯-১১ জুলাই সময়ে ওয়াশিংটন ডিসি-তে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফা বৈঠকেও যখন কোন স্পষ্ট অগ্রগতি অসেন, তখন সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয় যে, লবিস্ট নিয়েগের বিষয়ে আমদের চেষ্ট করা উচিত। আমায় দেরি করিনি।
সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি পরিপ্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করি। কিন্তু তাহলে এয়াশিংটনের পরিধারা সেই সময় অন্যান্য দেশের পক্ষ হয়ে মার্কিন প্রশাসনের সাথে কাড় করছিলেন এবং অতান্ত বাস্ত ছিলেন। তারপরও আমরা সাড়া পাই, এবং আমরা একটি লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছি। এই পুলে সময়টিতে আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা আম কৃতজ্ঞচিত্তে রাকাতে যাই। আপনারা শুরুত্ব নিয়ে নিয়মিত সংবাদ, তথা ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। এর ফলে আলোচনায় গতি ও গুরুত্ব, চাটিই বড়ে।
সাংবাদিক বন্ধুযা
আপনাদের মাধ্যমে আমি সকল হপ্তানিকারক ও উদ্যোক্তাদের জন্য এই টারিও বিষয়ে কিছু স্পষ্টীকরণ তুলে করতে চাই।
আগে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ১৬.৫% হারে MIN শুদ্ধ দিতাম। এখন যে ২০% অতিরিক্ত শুল্ক নির্ধারিত হয়েছে, এই ফলে আমাদের মোট শুপ্তের যার গাঁড়লো ৩৬.৫%, যা সুনির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন যারে প্রয়োহা হবে।
আমাদের মার্কিন রাস্তানির প্র প্রায় ৭০% য্যার তুলাভিত্তিক পোশাক, এবং শুদ্ধ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে যদি নূন্যতম ২০% আমেরিকার কাঁচামাল (যেমন আমেরিকার তুলা। ব বয়ক হয় ভাবলে আমেরিকার কাঁচামালের মূল্যের উপর এই অতিরিক্ত ২০% শুদ্ধ প্রযোয়া হবে না। অর্থাৎ আমেরিকার কাঁচামাল যারয়ার করলে আমরা বাড়তি কিছু শুপ্ত ঘাড় পাবো। আরেকটি কথা বলতে চাই যে, আমদের আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশে স্পষ্ট বলা আছে, কিছু দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিয়া বা নিরাপত্তা চুক্তি আলোচনা এখনো চলমান হয়েছে, যেগুলো সম্পাদিত হলে এসব দেশের শুদ্ধ আরো কমতে পারে। এই
হয়েছি। এখন আমাদের এই সক্ষমতা কাজে লাগতে হবে। আমাদের নিজেদের প্রমোচনে মূল্য সংযোজন বাড়াতে হবে, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, নতুন ডিজাইন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে হ্যামার ও পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শুধু সবচেয়ে বড় বাজার নং তার আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার। এই অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী এবং তোলার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর এবং আমর আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করা চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার যত্নশীল থাকবে।
বাংলাদেশের হয়নি পণ্যে ১০% শুল্প অবধারিতভাবে আমাদের পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে যেখানে শিল্পগুলো আগে যেতেই উত্তামুখী টেৎপাদন বায়ের সঙ্গে তাল মেটাতে প্রানান্তকরভাবে যুদ্ধ করছে। এক্ষেত্রে সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলো যাতে করে বাবসা থেকে ছিটকে না পড়ে তা সরকারকে নজরসারিতে রাখতে হবে। আমরা একান্তভাবে আশা করি, শিল্প ও দেশের স্বার্থে সরকারের সয়ল করে কাস্টমস সংক্রান্ত নীতিগুলো শিল্পবান্ধব যবে চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং শিল্প নিংরিত্রিয়াতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবতাহ পরে।
বিজিএমইএ থেকে আমর আমাদের কার্যক্রম অতামত রাখবে। আমরা ওয়াভিত্তিক বিশ্লেষণ, স্টেকযেল্ডারদের সাথে মারামাত এবং ফোর্ড সদস্যদের আলোচনার মাধ্যমে আমাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কিভাবে আরও বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কাজ করবো।।
আমরা মনে করি, শিল্প মালিক, সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাব, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজ-সতাই মিলে একসাথে কাজ করে শিল্পের জেনা যদি সম্মিলিতভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি তাষলে এই গুপ্ত প্রতিবন্ধকতা
সবাইকে ধনাতাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।